সুপার লিগ জোটের রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টাসকে চ্যাম্পিয়নস লিগে রাখল উয়েফা

চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে খেলার সুযোগ পাবে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস।ছবি: টুইটার

ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে এক অর্থে উয়েফার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব। যেটি একধরনের ‘বিদ্রোহ’ই।

নানা চাপের মুখে দ্রুতই ৯টি ক্লাব সুপার লিগের জোট থেকে সরে এলেও রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস সরেনি। উয়েফার চোখরাঙানিকে তোয়াক্কাই করেনি এই তিন ক্লাব। গুঞ্জন ছিল, শাস্তি হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুম থেকে হয়তো বহিষ্কার করা হতে পারে তাদের। কিন্তু সেটি হয়নি।

রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টাসকে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে রেখেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশ নেওয়া সব দলকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপার লিগ আয়োজনের জোট থেকে সরে না আসা রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করেছে উয়েফার স্বাধীন আপিল কমিটি। উয়েফা এই তিন ক্লাবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

কিন্তু গত সপ্তাহে মাদ্রিদের আদালতের নির্দেশে এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। রয়টার্সকে উয়েফার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আগামী মৌসুমে উয়েফা ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব ক্লাবকে আজ (কাল) আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।’

রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টাস এখনো ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যায়নি। উয়েফার শৃঙ্খলা কমিটি মে মাসে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল। ১০ জুন জানানো হয়, এ তদন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা ১২ ক্লাবের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এই তিন ক্লাব।

ইংল্যান্ডের ছয় ক্লাব—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহাম—জরিমানা গুনে সরে আসে সুপার লিগের জোট থেকে। ইতালি থেকে এসি মিলান ও ইন্টার মিলান এবং স্পেন থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদও জোট থেকে সরে দাঁড়ায়।

সুপার লিগের অন্যতম মস্তিষ্ক ও জুভেন্টাস চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া আনিয়েল্লি এ মাসের শুরুতে বলেছিলেন, এ টুর্নামেন্ট কোনো বিদ্রোহী লিগ নয়, বরং ফুটবলকে বাঁচাতেই সেটি আয়োজন করতে চান। এখন করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত সময় পার করছে ইউরোপের ক্লাবগুলো। আয়ের সুযোগ অনেক কমেছে।

গত এপ্রিলে ১২ ক্লাব মিলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের বিকল্প হিসেবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আনতে চেয়েছিল। কিন্তু সমর্থকদের প্রতিবাদ ও ফিফা-উয়েফার হুমকির মুখে দুদিনের মধ্যেই ভেস্তে যায় সুপার লিগের পরিকল্পনা।