সুয়ারেজ-নেইমারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে মেসির

বার্সেলোনায় যখন একসঙ্গে খেলতেন মেসি–নেইমার ও সুয়ারেজ। তিনজনের বন্ধুত্বের শুরু তখন থেকেইফাইল ছবি: এএফ

মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে এই ত্রয়ীর কত স্মৃতি, কত অর্জন!
২০১৪-১৫ মৌসুম এখনো স্মৃতিতে উজ্জ্বল থাকার কথা বার্সেলোনা সমর্থকদের।

মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার, বার্সা সমর্থকদের প্রিয় ‘এমএসএন’ ত্রয়ী সেবারই প্রথম একসঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন। প্রথম মৌসুমেই তিনজন সম্মিলিতভাবে করেছিলেন ১২২ গোল। বার্সেলোনাও জিতেছিল পরম আরাধ্য ‘ট্রেবল’।

পরের মৌসুমে ট্রেবল জেতা হয়নি বটে, কিন্তু ‘এমএসএন’ ত্রয়ী ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন নিজেদের। তিনজনে মিলে করেছিলেন ১৩১ গোল! নেইমারের বিদায়ের পর ভেঙেছে বিখ্যাত সেই ত্রয়ী। ২০১৭ সালে নেইমার চলে গেলেও মেসির সঙ্গী হয়ে সুয়ারেজ ছিলেন এত দিন।

কিন্তু চলতি মৌসুম শুরুর আগে সেই গাঁটছড়াও কেটে যায় মেসি-সুয়ারেজের। ক্লাবের অবহেলার শিকার হয়ে সুয়ারেজ পাড়ি জমান লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদে। তিন বন্ধুর ঠাঁই এখন তিন ক্লাবে।

কিন্তু তাতে কী? প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এই যুগে চাইলেই কী আর দূরে দূরে থাকা যায়? ক্লাব তাঁদের আলাদা করে দিলেও এই তিন লাতিন তারকা ব্যক্তিগত জীবনে আলাদা হননি একদম।

এখনো একই রকম ‘হরিহর আত্মা’ হয়ে রয়েছেন। স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল ‘লা সেক্সতা’র জর্দি ইভোলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিওনেল মেসি আর দশটা বিষয়ের মতো নেইমার ও সুয়ারেজের সঙ্গে তাঁর বর্তমান সম্পর্কের ব্যাপারেও মুখ খুলেছেন।

মেসি জানিয়েছেন, এখনো তাঁদের একটা নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে, যেখানে তাঁরা একে অন্যের খোঁজ নেন, ‘আমরা নিয়মিত একে অন্যের সঙ্গে কথা বলি। লুইসের সঙ্গেও আমার প্রতিদিন কথা হয়। আমাদের তিনজনের মধ্যে অনেক সুন্দর একটা সম্পর্ক বিদ্যমান। কিছুদিন আগে আমি আর নেইমারই যেমন চ্যাম্পিয়নস লিগে একে অন্যের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কথা বলেছি।’

চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেই এবার দেখা হতে চলেছে মেসির বার্সেলোনা ও নেইমারের পিএসজির।

দুজনের কেউ–ই ব্যাপারটায় সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন মেসি নিজেই, ‘ড্র-টা আমার পছন্দ হয়নি। কারণ, আমাদের এখনই পিএসজির মতো একটা শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হতে হবে। নেইমারেরও ড্র-টা পছন্দ হয়নি, কারণ আমরা এখন ভালো অবস্থায় না থাকলেও ও বিশ্বাস করে আমরা আরও উন্নতি করব।’

সুয়ারেজের ক্লাব ছাড়া নিয়েও কথা বলেছেন মেসি। জানিয়েছেন, প্রিয় বন্ধুর ক্লাব ছাড়ার বিষয়টা এখনো পোড়ায় তাঁকে, ‘এ নিয়ে আমি আগেও ভেবেছি। সুয়ারেজের চলে যাওয়ার ব্যাপারটা একদম অভাবিত ছিল। ও যেভাবে বিদায় নিল, আমি সেটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করি না এভাবে বিদায় নেওয়াটা ওর প্রাপ্য ছিল। ও শেষমেশ এমন একটা দলে গিয়েছে, যে আমাদের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী।’