সূচি নিয়েও ক্লপকে খোঁচা মরিনিওর

ম্যাচের সূচি নিয়ে বিরক্ত ক্লপ।ছবি: এএফপি

জোসে মরিনিও মানেই কথার তুবড়ি। নিজের দলের সাফল্য–ব্যর্থতা তো আছেই, অন্য দল নিয়েও অনর্গল কথা বলে যাচ্ছেন। তাঁর কথার শূল বিদ্ধ করে প্রতিপক্ষ কোচ, খেলোয়াড় সবাইকে। করোনা বিরতির কারণে হঠাৎ ঠাসা সূচিতে খেলতে হচ্ছে দলগুলোকে। প্রতি তিন দিন পরপর খেলা থাকছে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত দলগুলো তো সফরের পর পর্যাপ্ত বিশ্রামও পাচ্ছে না। এ নিয়ে নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।

তাঁর কথাতে যুক্তি আছে। যেভাবে খেলতে হচ্ছে, তাতে প্রতিটি দলেই চোটের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। অনেক দলই পছন্দের একাদশ নিয়ে নামার স্বাদ ভুলেই গেছে। এভাবে চলতে থাকলে মৌসুম শেষ করতে পারা নিয়েও সন্দেহ জাগবে একসময়। কিন্তু নিজের দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাননি, তাই এখন এ নিয়ে কথা বলায় ক্লপকে খোঁচা দিয়েছেন মরিনিও।

চোট নিয়ে সবচেয়ে ঝামেলায় আছে লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চোট পেয়ে মৌসুমের জন্যই ছিটকে গেছেন মূল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে ছিটকে পড়েছেন দুজন। গোলরক্ষক আলিসনও কয়েক দিন পরপরই ক্লাবের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। টানা সূচি নিয়ে মহাবিরক্ত হয়ে ক্লপ তাই ক্ষোভ জানিয়েছে বিটি স্পোর্টে, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১২টার পর (চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ) খেলা প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’

বুধবার ঘরের মাঠে আয়াক্সের বিপক্ষে খেলেছে লিভারপুল। তাদের পরের ম্যাচ আগামীকাল। তাই মরিনিওর মনে ক্লপের জন্য কোনো সহানুভূতি জাগছে না। আর্সেনালের সঙ্গে ‘ডার্বি’ ম্যাচের আগে এ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যখন আমরা এক সপ্তাহে চার ম্যাচ খেলেছি, তখন তো কেউ কান্নাকাটি করেনি বা সমর্থন দেয়নি। এখন আমার কলিগেরা কখন এ ম্যাচগুলো খেলছে?’ লিগের শুরুতেই ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বের জন্য টানা ম্যাচ খেলেছে টটেনহাম। একসময় ১৮ দিনের মধ্যে ৮টি ম্যাচও খেলতে হয়েছে তাদের।

আবারও কথার হুল ফোটালেন মরিনিও।
ছবি: এএফপি

ওদিকে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যস্ত থাকায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও সিটিকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সে সুবাদে তাদের প্রতিপক্ষ দলও ম্যাচ খেলেনি। এতে লিগে চারটি দল এক ম্যাচ কম খেলেছে। এভাবে এক ম্যাচ হাতে থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবে এ দুই দল। অন্তত মরিনিও এমনটাই ভাবেন, ‘আমার জন্য যেটা মানা কঠিন, চারটি দল অন্যদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে এবং আমি জানি না কখন তারা সে ম্যাচগুলো খেলবে। আমি এটাও জানি না বার্নলি, ম্যানচেস্টার সিটি, অ্যাস্টন ভিলা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং সম্ভবত নিউক্যাসল ও অ্যাস্টন ভিলা দুবার খেলবে। এটা মানা কঠিন। কারণ, এটা প্রতিযোগিতায় প্রভাব ফেলতে পারে। আমি জানার চেষ্টা করেছি (কখন হবে ম্যাচগুলো)। এ সপ্তাহে উত্তর খুঁজেছি কিন্তু কেউ আমাকে উত্তর দিতে পারেনি।’