সেই রোনালদোই টানছেন জুভেন্টাসকে

জোড়া গোল করলেন রোনালদো।
ছবি: রয়টার্স

৫৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে ইন্টার মিলান। ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এসি মিলান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আন্দ্রেয়া পিরলোর জুভেন্টাস, যারা কিনা ৯ বছর ধরে লিগ জিতে যাচ্ছে, তারাই বরং এবার কাঁপছে লিগ হারানোর শঙ্কায়। আর এই শঙ্কার মধ্যেই তাদের টেনে তুলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জোড়া গোল করে ক্রোতোনের বিপক্ষে দলকে ৩-০ গোলে জিতিয়ে প্রমাণ করেছেন, এখনই লিগ লড়াইয়ে হার মানছেন না তিনি।

৪-৪-২ ছকে আক্রমণভাগে দেয়ান কুলুসেভস্কির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রোনালদো। দুই ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন ফেদেরিকো কিয়েসা ও ওয়েস্টন ম্যাকেনি। জুভেন্টাসের জয় মূলত এই চারজনের কল্যাণেই এসেছে। ম্যাচের ২৮ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত জুভেন্টাস। কিয়েসার দুর্দান্ত এক মাটিঘেঁষা ক্রসকে গোলে রূপান্তরিত করতে পারেননি রোনালদো। ৩৩ মিনিটে ডাচ ডিফেন্ডার ম্যাটাইস ডি লিখটের একটা শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে এই হতাশা নিয়ে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি রোনালদোদের।

এখনই শিরোপার লড়াইটা ছেড়ে দিচ্ছেন না রোনালদো।
ছবি: রয়টার্স

৩৮ মিনিটে লেফট হাফস্পেস থেকে লেফট উইংব্যাক অ্যালেক্স সান্দ্রোর দুর্দান্ত এক ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। প্রথমার্ধের ঠিক শেষদিকে আবারও জুভেন্টাসের ত্রাতা হয়ে আসে রোনালদোর মাথা। বাঁ দিক থেকে ওয়েলশ মিডফিল্ডার অ্যারন র‍্যামসির এক ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান ২-০ করে দেন রোনালদো। গোল করার ঠিক পরই হ্যাটট্রিক করার সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেন এই পর্তুগিজ তারকা। আবারও সহায়তাকারীর ভূমিকায় এসেছিলেন র‍্যামসি, কিন্তু বল পেয়ে ঠিক গোলমুখে মারতে পারেননি রোনালদো।

পরে আর হ্যাটট্রিক করা হয়নি রোনালদোর। উল্টো ৬৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে ৩-০ গোলের জয় এনে দেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাকেনি।

হ্যাটট্রিক না পেলেও জয়ের পাশাপাশি আরেকটা তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোনালদো। লিগে এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল এখন তাঁরই। ইন্টার মিলানের রোমেলু লুকাকুকে হটিয়ে ১৮ গোল নিয়ে এখন রোনালদোই সিরি ‘আ’-এর সর্বোচ্চ গোলদাতা। এক গোল কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন লুকাকু। ওদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের সুইডিশ স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচের গোল ১৪টি।