৩-০ গোলের বড় জয় দিয়ে ফেডারেশন কাপে শুভ সূচনা করেছে বসুন্ধরা কিংস। তবু ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোনের মুখে হাসি নেই।
মুখে সন্তুষ্টির কথা থাকলেও চেহারায় কিছুটা অতৃপ্তির ছাপ। অন্যদিকে রহমতগঞ্জ হারলেও তাদের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর শরীরী ভাষায় বসুন্ধরার কাছে হারানোর কিছুই নেই এমন ভাব।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা ও রানার্সআপ রহমতগঞ্জ। সর্বশেষ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে তুমুল লড়াই শেষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল বসুন্ধরা।
আজ আয়েশি জয় পেলেও দলের খেলায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন দলের কোচ ব্রুজোন, ‘প্রথম ২৫-৩০ মিনিট গুছিয়ে নিতে পারছিলাম না। বিশেষ করে মাঝমাঠ থেকে ভালো আক্রমণ গড়া যায়নি। যদিও পরে সেটা ঠিক হয়ে গেছে। এটা আমাদের সেরা খেলা নয়। আমরা আরও ভালো খেলতে পারি। এখান থেকে অনেক উন্নতি করতে হবে।’
ভালো–খারাপ ছাপিয়ে ফুটবলে শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়াটাই বড় কথা। সে বিচারে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন অস্কার।
আজকের জয়ে তাঁর দল কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল বলে মনে হচ্ছে তাঁর, ‘ম্যাচ জেতায় আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। প্রথম ম্যাচে জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো প্রায় পরের রাউন্ডে চলে গেলাম।’
তিন দলের গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পাবে। এই গ্রুপের অন্য দলটি চট্টগ্রাম আবাহনী।
গত মৌসুমের বিদেশি খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে এবার নতুন চার বিদেশি নিয়ে মাঠে নেমেছে বসুন্ধরা। আর্জেন্টাইন হার্নান বার্কোসের স্থলে নেওয়া হয়েছে তাঁরই স্বদেশি রাউল বেসেরাকে। প্রথম ম্যাচে ১টি গোল পেলেও দর্শকদের সন্তুষ্ট করতে পারেননি এই স্ট্রাইকার।
রাউল বেসেরার পারফরম্যান্সে খুশি কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে অস্কার বলেন, ‘রাউল বেসেরা খুব উঁচু মানের খেলোয়াড়। ভালো স্ট্রাইকার। সে আড়াই সপ্তাহ আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। প্রথমে চোট ছিল। এখনো পুরোপুরি ফিটনেস আসেনি। ৮০–৮৫ ভাগ ফিট সে।’
অন্যদিকে বসুন্ধরার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেও কপাল চাপড়াচ্ছেন না রহমতগঞ্জ কোচ জিলানী। আজ তিন বিদেশিকে ছাড়াই দল সাজাতে হয়েছিল তাঁকে। এ ছাড়া ২ গোল হজম করেছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে।
সেই নিয়েই হতাশা জিলানীর, ‘আমরা দেশের সেরা দলের সঙ্গে খেলেছি। ওদের অনেক ভালো প্রস্তুতি। ভালো বিদেশি খেলোয়াড় আছে। এ ছাড়া জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়। আমার দলের একমাত্র বিদেশি তিন দিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমার খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটি হজম করেছি আমরা।’