সেশেলসের সঙ্গে ড্রয়ের কারণ মনোযোগের অভাব

মনোযোগের অভাবেই সেশেলসের সঙ্গে ড্র করেছে, মনে করেন কোচ মারিও লেমোসছবি: বাফুফে

সেশেলসের সঙ্গে জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নেমে শেষ পর্যন্ত ড্র। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে আজ ম্যাচের ১৭ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ইব্রাহিম। কিন্তু ৮৮ মিনিটে রাশিদের গোলে নাটকীয়ভাবে ড্র করেছে পূর্ব আফ্রিকার অখ্যাত দেশ সেশেলস।

ফিফার তালিকায় সেশেলস ১৯৯, বাংলাদেশ ১৮৭। ফুটবল বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তুল্যমূল্য বিচারে বাংলাদেশের জেতা উচিত ছিল এই ম্যাচ। কিন্তু এগিয়ে গিয়েও শেষ সময়ে গোল খেয়ে সেটা হলো না। ফলে শ্রীলঙ্কার চার জাতি টুর্নামেন্ট শুরু করা গেল না জয়ের আনন্দে। হতাশ বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা সবাই দুষছেন নিজেদেরই।

কোচ মারিও লেমোস সংবাদ সম্মেলনে যেমন বলেছেন, ‘সত্যি বলতে এই ড্রটা আমাদের জন্য হতাশার। প্রথমার্ধে আমরা একটা গোল করলেও মিস করেছি কয়েকটি। দ্বিতীয়ার্ধে ৪-৪-২ ছকে আসে সেশেলস। আমাদের কাজটা কঠিন করে তোলে ওরা। এই সময় ওরা প্রেস করেছে বেশি। তা ছাড়া আমরা অনেক ভুল করেছি, যার খেসারত হিসেবে পূর্ণ পয়েন্ট পেলাম না। এই ড্রয়ের দায় আমাদের নিজেদেরই।’

বাংলাদেশের নড়বড়ে রক্ষণই কি জিততে না পারার কারণ? কোচ লেমোস বলেন, ‘ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের মনোযোগের ঘাটতি ছিল। এমন ম্যাচ জিততে আপনাকে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ভুল করা চলবে না। আমরা ভুল করে গোল খেয়েছি।’ সেশেলসের মতো দলের বিপক্ষে একাধিক গোল করা দরকার ছিল জানিয়ে বাংলাদেশ কোচের সংযোজন, ‘এক গোলের ভরসা ছিল না। আমাদের উচিত ছিল আরও গোল করা। কিন্তু সেটা হয়নি।’

মারিও লেমোসের অধীনে জয় দিয়ে শুরু করতে পারল না বাংলাদেশ
ছবি: বাফুফে

এমন ড্র মানতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু। কলম্বো থেকে ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ম্যাচটাকে সহজভাবে নিয়েছিলাম। জিততে না পারার এটা অন্যতম কারণ। গোল নষ্ট করা আরেকটা কারণ।’ সাবেক এই ফুটবলার যোগ করেন, ‘প্রথমার্ধেই ৪-৫টা গোল নষ্ট হয়েছে আমাদের। শেষ দিকে সুফিলও (মাহবুবুর) সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারেনি। সমস্যা হয়েছে, গোটা দলটাকে ক্লান্ত মনে হয়েছে শেষ দিকে। বৃষ্টিভেজা ভারী মাঠে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। সবচেয়ে বড় হতাশার, ম্যাচের শেষ দিকে গোল খাওয়ার রোগটা আমাদের থেকেই গেল।’

কদিন আগেই মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে শেষ দিকে বাংলাদেশের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেদিন শেষ দিকে পেনাল্টি গোলে স্বপ্নভঙ্গ। জিততে জিততে ড্র করে সাফের ফাইনালে খেলা হয়নি। তবে শ্রীলঙ্কার এই চার জাতি টুর্নামেন্টে ফাইনালে খেলার সুযোগ আছে। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেলে ফাইনালের ভালো সম্ভাবনা থাকবে।