‘সোনার জুতো’ পেয়ে বউয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লেভানডফস্কি

ইউরোপিয়ান ‘গোল্ডেন শু’ হাতে লেভানডফস্কিছবি: লেভানডফস্কির টুইটার অ্যাকাউন্ট

রবার্ট লেভানডফস্কির ক্যারিয়ারে সেরা মৌসুম কোনটি। গোলসংখ্যা বিচারে অবশ্যই গত মৌসুম—বুন্দেসলিগায় ২৯ ম্যাচে রেকর্ড ৪১ গোল করেন বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে গত মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার পুরস্কারটা আজ পেলেন পোলিশ তারকা। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ইউরোপিয়ান ‘গোল্ডেন শু’ ট্রফি।

বায়ার্ন এবং ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়া (ইএসএম) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ গোলের এই পুরস্কার পান ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। ক্যারিয়ারে এই প্রথম ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন তিনি। সোনার জুতো হাতে নেওয়ার পর স্ত্রীকেই সবচেয়ে বড় ধন্যবাদটা দিলেন লেভা, ‘আমার স্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। বাজে সময়ে সে আমার প্রেরণা, সেরা সমর্থক।’

পোল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক কারাতে তারকা আনা লেভানডফস্কি তাঁর জীবনসঙ্গীর পুষ্টিবিদ এবং খাওয়াদাওয়ার দিকটি দেখাশোনা করেন। বায়ার্ন তারকাকে নিয়ে গর্বিত আনা, ‘খুব গর্ব লাগছে তাঁকে নিয়ে। মানুষ, অ্যাথলেট, সঙ্গী, স্বামী ও বন্ধু হিসেবে সে অসাধারণ।’

১৯৭১-৭২ মৌসুমে বুন্দেসলিগায় এক মৌসুমে ৪০ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন জার্মানির কিংবদন্তি স্ট্রাইকার গার্ড মুলার। গত মৌসুমে তাঁর সেই রেকর্ড ভাঙেন লেভানডফস্কি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে প্রতি গোলে ২ পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয়, সে হিসাবে ৪১ গোল করে সর্বোচ্চ ৮২ পয়েন্ট পেয়ে পুরস্কারটি জেতেন বায়ার্ন সমর্থকদের প্রিয় ‘লেভা’।

স্ত্রী অ্যানার সঙ্গে লেভানডফস্কি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নিচু সারির লিগে গোলপ্রতি ১ পয়েন্ট এবং মাঝারি সারির লিগে প্রতি গোলে দেড় পয়েন্ট ধরা হয়। ৩০ গোল নিয়ে দুইয়ে মেসি এবং ২৯ গোল নিয়ে তৃতীয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারে ছয়বার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন মেসি। রোনালদো জিতেছেন চারবার।

চলতি মৌসুমে ৭ ম্যাচে এরই মধ্যে ১১ গোল করেছেন লেভানডফস্কি। দলবদলের মৌসুমে গুজব উঠেছিল বায়ার্ন ছাড়তে পারেন তিনি।

সে সম্ভাবনা নাকচ করে লেভা বলেন, ‘অন্য লিগে নিজেকে আমার প্রমাণ করতে হবে না। চ্যাম্পিয়নস লিগে অন্য লিগের সেরাদের সঙ্গে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বায়ার্ন মিউনিখেই শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি। এই দল ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না।’

বুন্দেসলিগার ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন লেভানডফস্কি। তাঁর আগে ১৯৭০ ও ১৯৭২ সালে পুরস্কারটি জিতেছিলেন গার্ড মুলার।