হাজারতম ম্যাচ মরিনিওকে কিশোর বানিয়ে দিয়েছিল

এএস রোমা কোচ জোসে মরিনিওছবি: রয়টার্স

বিশ্বের সেরা ফুটবল কোচদের তালিকা করলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে রাখতে হবে জোসে মরিনিওকে। পর্তুগালের এএফসি পোর্তো ক্লাবের পর ইতালির ইন্টার মিলানকেও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতিয়েছেন।

প্রায় ১১ বছর বাদে রোমার কোচ হয়ে আবার ইতালিতে ফিরেছেন ৫৮ বছর বয়সী এই কোচ। কাল রাতে রোমার ডাগআউটেই কোচিং ক্যারিয়ারে এক হাজার ম্যাচের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মরিনিও।

তাঁর এক হাজারতম ম্যাচে সাসসুয়োলোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রোমা। হাজারতম ম্যাচে জয় পাওয়া মানেই বাড়তি আনন্দ। অথচ ম্যাচের আগে তাঁর ভাবখানা এমন ছিল যেন এই ম্যাচ অন্য যেকোনো একটা ম্যাচের মতোই।

তবে ম্যাচ শেষে নিজের মনের মধ্যে পুষে রাখা কথাটি বলেছেন মরিনিও, ‘পুরো সপ্তাহ আমি মিথ্যা কথা বলেছি। আমি বলেছিলাম, এটা কোনো বিশেষ ম্যাচ নয়। আসলে এটা আমার জন্য বিশেষ একটি ম্যাচ ছিল। হাজারতম ম্যাচে মনে রাখার মতো কিছু চেয়েছিলাম আমি।’

তবে এই ম্যাচে আরও ব্যবধানে জয় না পাওয়ার আফসোস আছে মরিনিরও। ম্যাচে দুই দলই আক্রমণের পর আক্রমণ করেছে। তবু জয় পাওয়ার পেছনে নিজের গোলকিপারের কৃতিত্ব দেখছেন মরিনিও, ‘৬-৬ বা ৭-৭–ও হতে পারত। রুই পাত্রিসিও অসাধারণ দুটি গোল ঠেকিয়েছে। আমরা কিছু সুযোগ নষ্ট করেছি। অসাধারণ একটি খেলা হয়েছে।’

১-১ সমতায় শেষ হতে বসেছিল ম্যাচটি। যোগ করা সময়ে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন স্টিফেন এল শারাওয়ে।

৯২ মিনিটে গোলে এমন জয়ের পর নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি মরিনিও, ‘ম্যাচটি হারা নিয়ে আমার অনেক ভয় ছিল। সৌভাগ্যবশত আমরা জিতেছি। আমি এমনভাবে দৌড়াচ্ছিলাম যেন আমার বয়স ৫৮ নয়, ১৪ বছর। দিওনিসির (প্রতিপক্ষ কোচ) জন্য খারাপ লাগছে আমার। সত্যিই তারা অসাধারণ খেলেছে।’

২০০০ সালে নিজের দেশের বেনফিকার কোচ হওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাদার ফুটবল কোচিংয়ে নাম লেখান মরিনহো। ক্যারিয়ারে তাঁর সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী। ৬৩৮ ম্যাচে জয়ের বিপরীতে ১৫৭ ম্যাচে হেরেছেন। ২০৫ ম্যাচ করেছেন ড্র।