হারতে ভুলে গেছে শেখ জামাল

শেখ জামালের জয়সূচক গোলটি করার পর গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলাইমান সিল্লাহ।ছবি: শামসুল হক

প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি। ফিরতি পর্বে এসেও আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একই ব্যবধানে জিতেছে শেখ জামাল। তবে আজকের জয়টি এসেছে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল দিয়ে। জামালের হয়ে একটি গোল করেছেন ভালিজনভ ওতাবেক ও সুলাইমান সিল্লাহ। মুক্তিযোদ্ধার গোলটি সোহেল রানার।
এই জয়ে চলতি প্রিমিয়ার লিগে এখনো অপরাজেয় শেখ জামাল। ১৪ ম্যাচ খেলে একটিতেও হারেনি তারা। গত মৌসুম থেকে টানা ১৯ ম্যাচে অপরাজিত শফিকুল ইসলামের দল।

ম্যাচের ৮ মিনিটে সোহেল রানার গোলে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। পাল্টা আক্রমণ থেকে শেখ জামাল রক্ষণভাগের পেছনে এরিয়াল থ্রু দিয়েছিলেন লেফট ব্যাক শোয়েব মিয়া। গতিতে শেখ জামাল ডিফেন্ডারদের ছিটকে ফেলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্সে ঢোকেন মেহেদী হাসান (রয়েল)। ততক্ষণে পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে প্রবেশ করা সোহেলকে পাস দিলে ফাঁকা পোস্টে বল রাখতে কোনো ভুলই করেননি সোহেল।

দুই দলের দুজন খেলোয়াড় দেখেছেন লাল কার্ড।
ছবি: প্রথম আলো

গোল খেয়ে শেখ জামাল পরিশোধ করতে পারেনি—লিগে এমন কোনো ম্যাচ নেই। কিন্তু আজ তেমন চড়াও হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন না তাদের চার বিদেশি ফরোয়ার্ড। লাল কার্ডে ম্যাচের গতি পরিবর্তন হয়ে যায় অনেকটা। ৩৫ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উভয় দলের একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তাঁরা হলেন শেখ জামালের মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান।

নিঃসন্দেহে মন্দের লাভটা বেশি হয়েছে জামালের। কারণ, মেহেদী হলেন মুক্তিযোদ্ধার সেরা সেন্টারব্যাক । দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এবার জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন তিনি। মেহেদীকে হারিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। সমতায় ফিরেই বিরতিতে যেতে পারত শেখ জামাল। যোগ করা সময়ে জাহিদ হোসেনের শট সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন সুলেমান সিল্লাহ। সলোমন কিংয়ের রক্ষণচেরা থ্রুতে ফাঁকা হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগ। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক মাহফুজ হাসানকে পরাস্ত করতে পারেননি গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
ছবি: প্রথম আলো

দ্বিতীয়ার্ধে ১৩ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে এগিয়ে যায় শফিকুল ইসলামের দল। ৫০ মিনিটে ফ্রি–কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে সমতায় ফেরান উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার ভালিজনভ ওতাবেক। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ওতাবেকের বাঁকানো শট সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়। ৬৩ মিনিটে ২-১ করেন সিল্লাহ। শাকিল আহমেদের কর্নার থেকে হেডে গোলটি করেন গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানটি সুসংহত করল শেখ জামাল। এক ম্যাচ কম খেলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে মুক্তিযোদ্ধা।