‘হ্যারি কেইন ম্যারাডোনার মতো’

টটেনহাম স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন এখন গোল বানিয়েও দেনছবি: এএফপি

হ্যারি কেইনকে প্রকাশ্যে একবার পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর ঘরের মাঠে লিভারপুলের সঙ্গে ম্যাচ ছিল টটেনহামের। তখন দলটির কোচের দায়িত্বে ছিলেন আর্জেন্টাইন মরেসিও পচেত্তিনো।

সেবার ম্যারাডোনার সফরসঙ্গী ছিলেন টটেনহাম কিংবদন্তি ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ওসভালদো আর্দিলেস। ওসভালদোকে দোভাষি বানিয়ে কেইনকে একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন কিংবদন্তি। বলেছিলেন, সব সময় কাছের পোস্টে না মেরে মাঝে মাঝে দূরের পোস্টেও গোল করার চেষ্টা করতে।

ম্যারাডোনার পরামর্শ সেদিন কাজে লাগানোর দরকার পড়েনি কেইনের। তবে কিংবদন্তির প্রশংসা যে অপাত্রে যায়নি, সেটা নিশ্চিত করেছেন সে ম্যাচে দুটি গোল ও একটি গোলে সহায়তা করে। দিন দিন আরও ভালো স্ট্রাইকার হয়ে উঠেছেন কেইন, সে সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোয়ও সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন।

তাই বলে কেইনের মধ্যে ম্যারাডোনার ছায়া! সাবেক টটেনহাম তারকা ডেভিড জিনোলার তো এমনই মনে হচ্ছে।

মাঝমাঠে নেমে গোলের উৎস হতেও দেখা যাচ্ছে কেইনকে
ছবি: এএফপি

গতকাল ঘরের মাঠে নিউক্যাসলকে ৫–১ গোলে বিধ্বস্ত করে টটেনহাম। কেইন এ ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলে গোল না পেলেও তাঁর খেলার তৈরির প্রশংসা করেন সাবেক এই মিডফিল্ডার। গোলও করিয়েছেন একটি। প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে ছয়টি গোল বানালেন ইংল্যান্ড তারকা।

ম্যাচ শেষে তাঁকে ‘নতুন প্লেমেকার’ বলে প্রশংসা করেন জিনোলা। ম্যারাডোনার সঙ্গে কেইনের খেলার মিল খুঁজে পান পিএসজির হয়ে লিগ আ–জয়ী জিনোলা।

প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মাঝমাঠের গভীরে নেমে ডিফেন্সচেরা পাস দিতেন। স্কাই স্পোর্টসকে জিনোলা বলেছেন, ‘হ্যারি কেই স্পার্সের নতুন প্লেমেকার। সে ম্যারাডোনার মতো। মাঝমাঠ থেকে দূরপাল্লার পাস, ছোট পাস দিচ্ছে, গোল করছে, গোল বানাচ্ছে—অসাধারণ। নতুন হ্যারি কেইন।’

টটেনহামের খেলার ব্যাখ্যা করতে গিয়েও কেইনের প্রশংসা করলেন জিনোলা, ‘মাঝমাঠে টটেনহাম নিজেদের সেরা প্রতিভার ওপর নির্ভর করেছে। পাস ও ফিনিশিং দুর্দান্ত ছিল।’

টটেনহাম কোচ আন্তনিও কন্তেও কেইনের প্রশংসা করলেন, ‘দুর্দান্ত খেলেছে। ম্যাচ শেষে তাকে বলেছি, গোল না পাওয়াটা লজ্জার। এমন খেলোয়াড় দলে থাকলে দল শক্তিশালী হয়। তার সতীর্থদের বুঝতে হবে দলে কেইন আছে। গোল করতে পারে, করাতেও পারে। আমরা একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে কথা বলছি।’