১০ গোল দিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড

দশ গোল এজিতেছে ইংল্যান্ডছবি : রয়টার্স

হ্যারি কেইনের ফর্ম নিয়ে কত কথাই–না লেখা হলো!


ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতে না পেরে শেষমেশ টটেনহামেই থেকে গিয়েছেন। কোচ নুনো এস্পিরিতো সান্তো কেইনের সেই ঝলক বেরই করতে পারছিলেন না। পরে নুনো ছাঁটাই হলেন, এলেন আন্তোনিও কন্তের মতো একজন চ্যাম্পিয়ন কোচ। কন্তের অধীনে টটেনহামের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছে কি না, এখনই বলার সুযোগ আসেনি।

চার গোল করেছেন কেইন
ছবি : রয়টার্স

তবে কেইনের ফর্ম নিয়ে এই ইতালিয়ান কোচ যে এর মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে বেশ। আর তার সুফল আপাতত পাচ্ছে কেইনের জাতীয় দল। এক ম্যাচ আগেই আলবেনিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ইংল্যান্ড। গত রাতে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে সান মারিনোর বিপক্ষে ইংল্যান্ড গোল করল স্রেফ এর দ্বিগুণ।

হ্যাঁ, দশ-দশটা গোল করেছে ইংল্যান্ড। নিশ্চিত করেছে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের অংশগ্রহণ। আলবেনিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা কেইন এই ম্যাচে গোল করেছেন আরও একটা বেশি। কেইনের এই ধুন্ধুমার ফর্ম দেখে স্পার্সভক্তদের মুখের হাসি চওড়া হবে নিশ্চিত!

দলের মূল তারকা ফর্মে ফিরেছেন, কোচ তো খুশি হবেনই
ছবি : রয়টার্স

কেইন ছাড়াও এই ম্যাচে গোল পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেন্টারব্যাক হ্যারি ম্যাগুয়ার, আর্সেনালের মিডফিল্ডার এমিল স্মিথ-রো ও বুকায়ো সাকা, অ্যাস্টন ভিলার সেন্টারব্যাক টায়রন মিংস, রোমার স্ট্রাইকার ট্যামি আব্রাহাম। বাকি গোলটা ফিলিপ্পো ফাব্রির আত্মঘাতী। অথচ এই ম্যাচে ১ পয়েন্ট হলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যেত ইংল্যান্ডের। ম্যাচের আগে এ কথা কেউ কেইনদের বলেননি হয়তো!


এর আগে ৫৭ বছর আগে ১৯৬৪ সালে এক ম্যাচে ১০ গোল দিয়েছিল ইংল্যান্ড। সে ম্যাচের দুর্ভাগা দলটা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন কেইনের ভূমিকা নিয়েছিলেন লিভারপুলের সাবেক স্ট্রাইকার রজার হান্ট, এক হালি গোল করেছিলেন তিনি। ৪ গোল নিয়ে ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৪৮ গোল নিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে এলেন হ্যারি কেইন।

লেস্টার সিটি ও বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারের গোলও কেইনের সমান। ৫ গোল বেশি নিয়ে সবার ওপরে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এভারটনের সাবেক স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনি।


গ্রুপ এফ থেকে ডেনমার্কের বিশ্বকাপে যাওয়া আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ওদিকে স্কটল্যান্ডও যে প্লে-অফ খেলবে এই গ্রুপ থেকে, সেটাও নিশ্চিত ছিল। গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটা তাই এক অর্থে অর্থহীন হয়ে গিয়েছিল। অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাওয়া ম্যাচটায় অবশ্য শেষ হাসি হেসেছে স্কটল্যান্ড। চে অ্যাডামস আর জন সুতারের গোলে দুর্বল দল নামানো ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।