১২ গোলের মেলায় ৫ গোলে দেশি ‘সৌরভ’

জয়ের পর শেখ রাসেলের ফুটবলাররা।ছবি: প্রথম আলো

আজ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ৩–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। তিনটি গোলই এসেছে বিদেশিদের পা থেকে।

একটি করে গোল করেছেন তাজিকিস্তানের সিওভুশ আশরোরভ, কিরগিজস্তানের বখতিয়ার দুশবেকভ ও ব্রাজিলের জিয়ানকার্লো লোপেজ।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ যেন গোলের মেলা বসেছিল। আবাহনী লিমিটেড ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার দিনের প্রথম ম্যাচে মোট গোল হয়েছিল ৭টি। বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাব এবং বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচে ২ গোল।

তৃতীয় ম্যাচেও এসে গোল দেখা গেল ৩টি। তিন ম্যাচে মোট ১২ গোলের মেলায় পাঁচটি গোল এসেছে স্থানীয়দের পা থেকে।

আজ শেখ রাসেলের জয়টিকে বিশেষভাবে আখ্যায়িত করা যায়। দলের প্রতিটি বিভাগ থেকে গোল এসেছে একটি করে। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আশরোরভ দলকে এগিয়ে নিয়েছেন।

ব্যবধান বাড়িয়েছেন মিডফিল্ডার দুশবেকভ ও তৃতীয় গোলটি করে শেখ রাসেলকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায় ফরোয়ার্ড লোপেজ। একটি গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারেনি পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ।

রহমতগঞ্জের রক্ষণে এভাবে ত্রাস ছড়িয়েছে শেখ রাসেল।
ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচের তিন মিনিটেই আশরোরভের গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। মিডফিল্ডার দুশবেকভের ফ্রি–কিক থেকে দূরের পোস্টে পা ছুঁয়ে গোলটি করেন এই সেন্টারব্যাক। মাঝে মাঝেই ওপরে উঠে এসে গোল করেন তাজিকিস্তান জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। লিগে এই নিয়ে তাঁর গোল হলো তিনটি।

৩৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে ২–০ করেছেন দুশবেকভ। বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করলে তাঁকে পেছন থেকে ট্যাকল করে ফেলে দেন রহমতগঞ্জের সেন্টারব্যাক মোহাম্মদ তারেক। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে বল হাতে তুলে নেন দুশবেকভই। স্পট কিক থেকে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুলই করেননি কিরগিজস্তান জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার।

রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ থেকে গোল পেয়েছে শেখ রাসেল।
ছবি: প্রথম আলো

রক্ষণভাগ ও মাঝমাঠের খেলোয়াড় গোল করেছেন। স্ট্রাইকার গোল না করলে কেমন হয়! ৭০ মিনিটে সেই কাজটি করলেন লোপেজ। আশরোরভের ফ্রি–কিক থেকে হেডে গোলটি করেন দীর্ঘদেহী এই স্ট্রাইকার।

এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে শেখ রাসেল। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ।