১৩ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকার ঋণ বার্সেলোনার

সংবাদ সম্মেলনে বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাছবি: এএফপি

বেশ ভালোই বাহাস চলছে বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সভাপতির মধ্যে।
আর্থিকভাবে বার্সার এখন খুব বাজে দশা।

সেই সমস্যার জের ধরে ক্লাব ছেড়েছেন লিওনেল মেসির মতো কিংবদন্তি। লা লিগার বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে থাকতে বেতনসীমা কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, তা নিয়েই ঘুম হারাম বার্সার।

ক্লাবের এই বাজে অবস্থার জন্য নতুন সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা এর আগে অনেকবারই দোষ চাপিয়েছেন সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের কাঁধে।

কদিন আগে বিশাল এক চিঠিতে লাপোর্তার সব অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন বার্তোমেউ। দায়ী করেছিলেন লাপোর্তার বোর্ডকে। লাপোর্তার মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব আছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। সাবেক বোর্ডের উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো মেনে নিলে কোভিড মহামারির মধ্যেও বার্সা বাজে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারত বলে চিঠিতে তার বিশ্লেষণ করেছিলেন বার্তোমেউ।

সাবেক সভাপতির এই ‘পত্রবোমা’ পাওয়ার পর লাপোর্তা চুপ থাকবেন কেন! বার্সা সভাপতি আজ সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা এক হাত নিলেন বার্তোমেউকে। লাপোর্তার মতে, বার্তোমেউ বার্সাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন।

বার্সার বর্তমান আর্থিক অবস্থার কথাও জানিয়েছেন লাপোর্তা, ৪৮ কোটি ১০ লাখ ইউরো লোকসানে আছে ক্লাব। ৬৩ কোটি ১০ লাখ ইউরো আয়ের বিপরীতে খরচ ১১৩ কোটি ৬০ লাখ ইউরো। এই অঙ্ক লা লিগার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কোভিড মহামারির কারণে বার্সা ৯ কোটি ১০ লাখ ইউরো আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলেও জানান লাপোর্তা। আর আজকের দিন পর্যন্ত বার্সার মোট ঋণের পরিমাণ ১৩৫ কোটি ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ১৩ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। লাপোর্তা বলেন, ‘আমাদের ঋণ এবং আমাদের কাছে অন্যদের ঋণের মধ্যে পার্থক্য ৫৫ কোটি ১০ লাখ ইউরো। অনেক বড় অঙ্ক।’

ক্লাবের ব্যাংকঋণও বেড়েছে বলে জানান লাপোর্তা, ‘ব্যাংকের কাছে ঋণ অনেক বেড়ে ৬৭ কোটি ৩০ লাখ ইউরোয় ঠেকেছে। (সভাপতির) দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা গোল্ডম্যান স্যাকসের কাছে সংক্ষিপ্ত মেয়াদে ৮ কোটি ইউরো ঋণ নিই। তা না হলে আমরা বেতন দিতে পারতাম না।’

লাপোর্তা বার্সার কিছু ভালো খবরও জানিয়েছেন, ‘টিভি স্বত্ব থেকে ৭ কোটি ৯০ লাখ ইউরো আগাম নেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড় বিক্রি থেকেও একটা অংশ আগাম মিলেছে। আর ৯ শতাংশ সুদ পরিশোধ করে ব্যাংকের সঙ্গেও কথা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

লাপোর্তা বলছেন কীভাবে অতীতে বার্সেলোনার সর্বনাশে বিজ পোঁতা হয়েছিল, ‘বেতননীতি এবং ভুল দলবদলনীতি আমরা দেখেছি দায়িত্ব নেওয়ার পর। কিংবদন্তিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিপত্র এবং তরুণদের জন্য সংক্ষিপ্ত মেয়াদের চুক্তি, এসব সামলানো খুব কঠিন।’