২ বছর পর বিশ্বকাপ চান সালাউদ্দিন

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনফাইল ছবি: প্রথম আলো

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বিশ্বকাপের এক বছর আগে এসে সে স্বপ্নটা অলীক বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

এশিয়ান অঞ্চল থেকে ৩৫ নম্বরে থেকে কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশ। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিশ্বকাপ তো অলৌকিক স্বপ্ন, দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলেই এখন আর পাত্তা পাচ্ছে না বাংলাদেশ।

সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হওয়ার পর বাংলাদেশ টানা চারবার সাফ ফুটবলের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে।

বিশ্ব ফুটবলে বর্তমানে বাংলাদেশের র‍্যাঙ্কিং ১৮৮। এ অবস্থায় নতুন করে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ আনার কারণ, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের যে রব উঠেছে, তাতে সহমত পোষণ করেছেন বাফুফে সভাপতি।

কয়েক মাস আগে আর্সেনালের কিংবদন্তি কোচ ও বর্তমান ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি আর্সেন ওয়েঙ্গার ২ বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলের মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিরা।

জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে সালাউদ্দিন
ছবি: প্রথম আলো

কাজী সালাউদ্দিনসহ বাসাম আবদেল জলিল (মালদ্বীপ), কারমা শেরিং (নেপাল), জসওয়ার উমর (শ্রীলঙ্কা)—আজ এই চারজনের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিষয়টি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ৭১তম ফিফা কংগ্রেসে ১৬২টি দেশ ২ বছর পরপর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে। বেশি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তাঁরা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিফা বিশ্বকাপের মধ্যে চার বছরের এই ব্যবধান অনেক বেশি। আর সুযোগও কমিয়ে দেয়। এতে অনেক প্রতিভাবান প্রজন্মের অংশ নেওয়ার সুযোগ কমে যায়। বিশ্বকাপের এক শ বছরের ইতিহাসে এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের চার ভাগের এক ভাগের কম দল অংশ নিতে পেরেছে। অথচ এমন টুর্নামেন্টই উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এত বড় টুর্নামেন্ট ও নিয়মিত প্রতিযোগিতা যুব ফুটবলের উন্নয়নের ভিত্তি। বার্ষিক যুব টুর্নামেন্ট আয়োজন এই উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে এবং আমরা এই বিতর্কে আর্সেন ওয়েঙ্গারের এই যুক্তির পক্ষে। সব প্রতিভা-সব দেশের (বিশ্বকাপ খেলার) সুযোগ প্রাপ্য।’