২১ থেকে কোন ‘১১’ নিয়ে বাংলাদেশের ফাইনাল?

ফাইনালে কোন ১১জন খেলবেন বাংলাদেশের?ছবি: বাফুফে

শেষ পর্যন্ত লটারিতেই না নাম তুলতে হয় জেমি ডেকে। কথাটা কৌতুকের ছলে বলা হচ্ছে না, জেমি আক্ষরিক অর্থেই এই লটারির কথা বলেছেন। নেপালে তিন জাতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের একাদশ কেমন হবে, লটারির প্রসঙ্গটা সেটি নিয়েই। গতকাল ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর নেপালের বিপক্ষে ফাইনালের পোশাকি মহড়ায় একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার একাদশ খেলেছে, সেটি সবাই দেখেছে, কিন্তু ফাইনালে কোন ১১ জন খেলবেন, এটা নিয়ে এখন ফুটবল মহলে দারুণ কৌতূহল। রাউন্ড রবিনের দুটি ম্যাচে যে ২২ জন খেলোয়াড় খেলেছেন, জেমির চোখে ফাইনালে খেলার যোগ্য সবাই। এখন প্রশ্ন, ২২ জন থেকে কাল মাঠে নামবেন কোন ১১ জন?

আজ সকালে টিম হোটেলের লনে জেমিকে সেদিনের লটারির প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দিলে হেসে জেমিও সেটিই বললেন, ‘হতেও পারে। দুই ম্যাচে দল নিয়ে পরীক্ষা করেছি। ফাইনালে কোনো পরীক্ষা চাই না। দুটি ম্যাচে আমরা একটি গোলও হজম করিনি। সবাই ভালো খেলেছে। ফাইনালে খেলবে সেরা দলটি।’

ফাইনালের একাদশ নিয়ে নির্ভার জেমি ডে ও তাঁর সঙ্গীরা।
ছবি: প্রথম আলো

জুনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকি তিন ম্যাচের কথা ভেবেই কাঠমান্ডুর টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছিল বাংলাদেশ। কোচের লক্ষ্য ছিল দলের সব খেলোয়াড়কে পরখ করে নেওয়া। সেটি তিনি এরই মধ্যে করেছেন। সেদিক দিয়ে তিনি সফল। ৪ পয়েন্ট তুলে নিয়ে এখন শিরোপার জন্য খেলবে বাংলাদেশ।

২৪ খেলোয়াড় নিয়ে কাঠমান্ডুতে এসেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৩ জন খেলোয়াড়ের নাম নিবন্ধন করানোর সুযোগ থাকায় মোহাম্মদ জুয়েলকে সরিয়ে রাখতে হয়। বাকি ২৩ জনের মধ্যে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম ছাড়া খেলেছেন ২২ জনই। তার মধ্যে থেকে চোট পেয়ে এরই মধ্যে দেশে ফিরে গিয়েছেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। বিশ্বনাথকে বাদ দিয়ে দুই ম্যাচে খেলা ২১ জনই এখন ফাইনাল খেলার দাবিদার।

সেরা একাদশ গঠন করতে গিয়ে তো তাহলে মধুর সমস্যাতেই বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘এটা কোনো সমস্যা নয়। আমরা ভালো করেই জানি একাদশটি কেমন হবে। এটা খুবই স্বাভাবিক, দুই ম্যাচ থেকে সেরা ১১ জন নিয়েই হবে ফাইনালের দল।’ আগামীকাল বাংলাদেশ সময়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে নামবে বাংলাদেশ। যেটি হতে যাচ্ছে ১৫ বছর পর বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা।