২৭১৪ দিন পর লন্ডনে ফুটল ‘বেলফুল’

গোল পেয়েছেন বেল, হ্যারি কেইন তো অভিনন্দন জানাবেনই।ছবি:রয়টার্স

১৯ মে, ২০১৩। স্যান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ লিগ ম্যাচে খেলতে নেমেছেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা গ্যারেথ বেল। তত দিনে রিয়াল মাদ্রিদের শ্যেনদৃষ্টি যার ওপর বেশ ভালোভাবেই পড়েছে। শোনা যাচ্ছে, মৌসুমের শেষেই স্পার্সের সাদা ছেড়ে রিয়ালের সাদা জার্সি গায়ে তুলবেন এই তারকা। সে ম্যাচে নেমেছিলেন ডানদিকে। চেষ্টা করছিলেন ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে বাঁ পায়ের দূরপাল্লার জোরালো শটে গোল করতে। তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না। একদম শেষ মুহূর্তে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। স্যান্ডারল্যান্ডের তরুণ লেফটব্যাক অ্যাডাম মিচেলকে বোকা বানিয়ে বাম পায়ের জোরালো শটে গোল করে বসেন বেল। টটেনহাম ম্যাচ জেতে ১-০ ব্যবধানে, ওই এক গোলের সুবাদে। যাওয়ার বেলায় প্রিয় স্পার্সকে জিতিয়েই রিয়ালে যোগ দেন বেল। ওদিকে বেচারা মিচেলের আর প্রিমিয়ার লিগে খেলার সৌভাগ্য হয়নি!

এরপর কেটে গেছে সাত বছর, দিনের হিসেব আনলে দুই হাজার ৭১৪ দিন। লন্ডন দেখেনি বেলের জাদু। স্টেডিয়াম পরিবর্তন করে হোয়াইট হার্ট লেন থেকে ওয়েম্বলি ঘুরে টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে এখন খেলে স্পার্স। নতুন স্টেডিয়ামে ‘বেলফুল’ ছিল অচেনা এক নাম। অবশেষে সেটিও ফুটল। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে টটেনহামে ফিরেছেন। বেলফুল না ফুটলে কি চলে!

এই হেডেই ফুটল ‘বেলফুল’
ছবি: রয়টার্স

রিয়াল থেকে ঘরে ফেরার পর বেলের গোল দেখার অপেক্ষায় ছিলেন স্পার্স সমর্থকেরা। অধীর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল কাল রাতে। বেলের গোলে ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। সেই গোল আবার পুরোপুরিই ‘রিয়ালময়’!

বেল নিজে তো রিয়াল থেকে এসেছেনই, সে গোলে যে ক্রস দিয়ে সহায়তা করেছেন, সেই সের্হিও রেগিলনও এই মৌসুমেই বেলের সঙ্গে রিয়াল থেকে স্পার্সে এসেছেন। রক্ষণভাগের ডান দিক থেকে নিখুঁত এক লং বল বাড়িয়েছিলেন টোবি অল্ডারভেইরেল্ড। সেটি নিয়ন্ত্রণে এনে ডান পায়ের নিখুঁত ক্রস পাঠান রেগিলন। বাকি কাজটা সারতে বেলের সমস্যা হয়নি।

তবে এই ম্যাচের মূল একাদশে ছিলেন না বেল। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলেন আর্জেন্টিনার উইঙ্গার এরিক লামেলার বদলি হিসেবে। নেমে গোল করতে ২০০ সেকেন্ড সময়ও নেননি। এর আগে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়া টটেনহামকে পয়েন্ট হারানোর হুমকি দিয়েছিল ব্রাইটন সমতায় ফিরে। বেল মাঠে নেমে দলের পূর্ণ পয়েন্টই নিশ্চিত করেছেন।