২৮৫ দিন পর মাঠে ফিরলেন ফন ডাইক

মাঠে ফিরেছেন ফন ডাইকছবি : টুইটার

গত বছরের অক্টোবরে ঘটেছিল অঘটনটা।

নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এভারটনের বিপক্ষে ছিল লিগের ম্যাচ। নিজেদের ডি-বক্সে লিভারপুলের ডাচ সেন্টারব্যাক ভার্জিল ফন ডাইকের হাঁটুতে পাগলাটে ধরনের এক ট্যাকল করে বসেন এভারটনের ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। যে ফন ডাইক ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে এক মিনিটও লিগ ম্যাচের বাইরে থাকেননি, তিনিই কিনা গোটা মৌসুমে আর খেলতেই পারলেন না! স্থানীয় হাসপাতালে হাঁটুতে স্ক্যান শেষে ক্রাচে ভর দিয়েই ফিরলেন। পরে জানা গেল, লিগামেন্ট ছিঁড়েছে তাঁর। সুস্থ হতে লাগবে অস্ত্রোপচার। মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন দীর্ঘ সময়ের জন্য।

২০১৯-২০ মৌসুমে লিগ জেতা লিভারপুল গতবার যে তৃতীয় হলো, এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল এটিই। শুধু ফন ডাইকই নন, মৌসুমনাশী চোটে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন ফন ডাইকের রক্ষণসঙ্গী ইংলিশ সেন্টারব্যাক জো গোমেজও। দুজনই এই গ্রীষ্মে ইউরো খেলতে পারেননি। চালিয়ে গেছেন পুনর্বাসন।

অবশেষে লিভারপুল সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মাঠে ফিরেছেন এই দুজন। জার্মান ক্লাব হার্থা বার্লিনের বিপক্ষে প্রাক–মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে গত রাতে মাঠে নেমেছেন ফন ডাইক ও গোমেজ। দুজনের কেউই মূল একাদশে ছিলেন না, পরে নামানো হয় তাঁদের। দুজন মাঠে নামলেন যথাক্রমে ২৮৫ ও ২৫৯ দিন পর।

তবে ম্যাচের ফল লিভারপুলের পক্ষে যায়নি। অস্ট্রিয়ার মাঠে বার্লিনের কাছে লিভারপুল হেরে বসেছে ৪-৩ গোলে। জোড়া গোল করেছেন সদ্যই জার্মান ক্লাবটায় যোগ দেওয়া সাবেক ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার স্তেভান ইয়োভেটিচ। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন সাদিও মানে, তাকুমি মিনামিনো ও অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিন।

তবে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে লিভারপুলের ভাবতে বয়েই গেছে! দলের দুই মূল কাণ্ডারি যে ফিরেছেন!

ফন ডাইক নিজেও মাঠে ফিরতে পেরে আপ্লুত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের স্বস্তির কথাই জানিয়েছেন এই ডাচ ডিফেন্ডার।

বলেছেন, ‘২৮৫ দিন আগে আমি আবার খেলায় ফেরার জন্য যাত্রা শুরু করি। এই অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এই সময়ে অসাধারণ কিছু মানুষের সাহায্য পেয়েছি, এটা বলতেই হবে। শল্যবিদ, চিকিৎসক। কোচ, অন্যান্য কর্মকর্তা আমার পাশে ছিলেন সব সময়। আমার সতীর্থরা প্রতি মুহূর্তে আমাকে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই ভালোবাসা, সমর্থন ও উৎসাহ দিয়ে আমাকে প্রতিটা মুহূর্তে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। সবশেষে আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁরা না থাকলে এই যাত্রা সফল হতো না। তবে কাজ এখানেই শেষ নয়। মাত্র শুরু হলো সবকিছু। এগিয়ে যেতে হবে আমাদের!’