৩৪তম জন্মদিনে রিয়ালের রোনালদোকে মনে করালেন সুয়ারেজ
বার্সেলোনা ছাড়তে চাননি লুইস সুয়ারেজ। কাতালান ক্লাবই তাঁকে রাখেনি। সুয়ারেজের মন খারাপ হলেও পেশাদার জগতে এসবের মূল্য কোথায়! নতুন ক্লাবে মনপ্রাণ ঢেলেই খেলতে হয়। পেশাদার বলেই আতলেতিকো মাদ্রিদে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন উরুগুইয়ান তারকা। তাতে মিলছে গোলের দেখা। কাল যেমন লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে আতলেতিকোর ৩-১ ব্যবধানের জয়েও গোল করেছেন সুয়ারেজ।
গত বছর বার্সা ছেড়ে আতলেতিকোয় যোগ দেওয়ার পর থেকেই দারুণ ফর্মে আছেন সুয়ারেজ। জোয়াও ফেলিক্স, আনহেল কোরেয়া ও সুয়ারেজ আতলেতিকোর হয়ে গোল করেন।
৫৪ মিনিটে করা গোলটি দিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এক নজিরও মনে করিয়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ। লা লিগায় নতুন কোনো ক্লাবের হয়ে সেরা শুরুটা এখনো রোনালদোর।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ২০০৯ সালে রিয়ালে যোগ দেন পর্তুগিজ তারকা। সেবার রিয়ালের হয়ে লিগে প্রথম ১৫ ম্যাচে করেছিলেন ১৩ গোল। লা লিগায় নতুন কোনো ক্লাবের হয়ে সেটিই সেরা শুরুর নজির।
আতলেতিকোর হয়ে লিগে ১৫ ম্যাচের মধ্যে সেরা শুরুর নজিরটা এখন সুয়ারেজের। ১৫ ম্যাচে এ নিয়ে ১২ গোল করলেন তিনি। লিগে রোনালদোর সেই কীর্তির পর দ্বিতীয় সেরা শুরুর নজিরও এখন সুয়ারেজের। নিজের ৩৪তম জন্মদিনে এমন অর্জনে নিশ্চয়ই খুশি হবেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার।
বার্সা থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে আতলেতিকোয় যোগ দেন সুয়ারেজ। লা লিগার এবারের মৌসুমে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতাও। অবশ্য জায়গায়টি তাঁর একার নয়। সেভিয়ার মরোক্কান স্ট্রাইকার ইউসুফ এন-নেসিরি তাঁর চেয়ে চার ম্যাচ বেশি খেলে ১২ গোল করেছেন।
কাল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর সুয়ারেজের দারুণ প্রশংসা করেন আতলেতিকো সভাপতি এনরিক সেরেজো। ৩৪ বছর বয়সেও সুয়ারেজ বিশ্বমানের স্ট্রাইকার বলে মনে করেন তিনি, ‘আমরা সব সময়ই মনে করেছি লুইস সুয়ারেজ ইউরোপের সেরা সেন্টার ফরোয়ার্ড। আমরা ভাগ্যবান যে সে আমাদের সঙ্গে আছে। সবাই খুশি।’
১৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আতলেটিকো। দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট। ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বার্সেলোনা।