৪ গোলের ম্যাচে জিতল না কেউ

এ লড়াইয়ের মতো ম্যাচেও ছিল সমতা।
ছবি: বাফুফে

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ যেন গোলের মেলা বসেছিল। ফেডারেশন কাপের দিনের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ৪–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং। বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমন্ডির মধ্যকার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল হলো ৪টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচটি হয়েছে ২–২ গোলে ড্র।

এই ড্রয়ে দুই দলের সামনেই খোলা থাকল কোয়ার্টার ফাইনালের পথ। দুই ম্যাচ খেলে পুলিশের পয়েন্ট ১। এক ম্যাচ কম খেলে জামালের পয়েন্টও ১। আজকের ড্রয়ে তাৎক্ষণিক লাভ হয়েছে গ্রুপের অন্য দল শেখ রাসেলের। এক ম্যাচ হাতে রেখেই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা। প্রথম ম্যাচে পুলিশের বিপক্ষে ১–০ গোলে জিতেছিল রাসেল। ৩০ ডিসেম্বর ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শেখ রাসেল ও শেখ জামাল। ন্যূনতম ড্র করতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেলের সঙ্গী হবে শেখ জামাল ধানমন্ডি।

এ দুই দলের লড়াইয়ে লাভ হয়েছে শেখ রাসেলের।
ছবি: বাফুফে

আজ ৪ গোলের দুটি গোল ছিল দুর্দান্ত। একটি পুলিশের স্থানীয় উইঙ্গার মোহাম্মদ স্বাধীনের। অন্যটি শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর জোবের। স্বাধীনের গোলেই ম্যাচের ১০ মিনিটে এগিয়ে যায় পুলিশ। জাতীয় দলের উইঙ্গার এম এস বাবলুর রক্ষণচেরা এরিয়াল পাস বক্সের মধ্যে বুকে নামিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোলটি করেছেন তরুণ উইঙ্গার স্বাধীন। স্থানীয় ফুটবলারদের পায়ে এমন গোল খুব কমই দেখা যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেয় দুই দলের মোট ৩ গোল। ৫১ মিনিটে শেখ জামালকে সমতায় ফেরান ওমর জোবে। সলোমান কিংয়ের পাস থেকে বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দূরের পোস্টে প্লেসিংয়ে গোলটি করেন গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড—১–১। সমতায় ফেরার ৭ মিনিট পরেই এগিয়ে যেতে পারত শেখ জামাল। তাদের উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড ভালি জনভ ওতাবেকের শট পুলিশ গোলরক্ষক নেহালের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে।

উল্টো ৭৭ মিনিটে পুলিশকে আত্মঘাতী গোল উপহার দেয় শেখ জামাল। বক্সের মধ্য থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন শেখ জামাল ডিফেন্ডার আরিফুল। অবশ্য আত্মঘাতী গোলের দুঃখে বেশিক্ষণ পুড়তে হয়নি গতবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া শেখ জামালকে। ৭৯ মিনিটে ২–২ করেছেন দলটির অধিনায়ক সলোমন কিং। ওতাবেকের ফ্রি–কিক প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গোলমুখে সলোমনের সামনে পড়ে। সেখান থেকে গোল না করতে পারার মতো ফরোয়ার্ড নন তিনি। ব্যস, দারুণ শটে ২–২।