জার্ড মুলারের ৪৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড ছোঁয়া লেভাকে নিয়ে উদ্‌যাপন

লেভানডফস্কির পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন বায়ার্নের সবাই।ছবি: এএফপি

কী দারুণ একটা মুহূর্তের জন্ম দিয়েই না রবার্ট লেভানডফস্কির জন্য মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন তাঁর বায়ার্ন মিউনিখ সতীর্থ আর কোচরা!

জার্মান লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে জার্ড মুলারকে ছুঁতে একটা গোলের দরকার ছিল তাঁর। ফ্রাইবুর্গের মাঠে আজ ম্যাচের ২৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটা পেয়ে গেলেন লেভানডফস্কি। উদ্‌যাপনে নিজেই জার্সি উঁচিয়ে একটা লেখা তুলে ধরলেন। সেখানে লেখা, ‘ফরেভার জার্ড।’ বাংলায়, জার্ড চিরন্তন। লেখার ওপরে জার্মান কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের ছবি।

গোলের উদ্‌যাপন শেষে লেভা দেখলেন, বায়ার্ন ডাগআউটের দিকে ছুটে যাচ্ছেন দলের খেলোয়াড়েরা। কোচরাও ডাগআউটের আসন থেকে উঠে এলেন। খেলোয়াড়-কোচরা দুই পাশে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে গেলেন। লেভানডফস্কিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেবেন।

আরও আবেগ ছুঁয়ে গেল লেভাকে। চেনা লাজুক হাসি মানিয়ে গেল মুখে। লাজুক ভঙ্গিতেই দুপাশে দাঁড়ানো সতীর্থ-কোচদের মাঝ দিয়ে হেঁটে গেলেন। সবাই পিঠ চাপড়ে দিলেন ৩২ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকারের।

পিঠ চাপড়ে দেওয়ার মতো, এভাবে স্মরণীয় করে রাখা উদ্‌যাপনের মতো কীর্তিই যে গড়েছেন লেভা! সেই ১৯৭১/৭২ মৌসুমে কিংবদন্তি জার্মান স্ট্রাইকার জার্ড মুলার বুন্দেসলিগায় এক মৌসুমে ৪০ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন, আজ ফ্রাইবুর্গের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র ম্যাচে বায়ার্নের প্রথম গোলটিতে সে কীর্তি ছুঁয়েছেন লেভা।

পেনাল্টি থেকে গোল করছেন লেভা।
ছবি: এএফপি

মুলার রেকর্ডটা গড়েছিলেন ৩৪ ম্যাচে, গত মৌসুমে পাওয়া হাঁটুর চোট আর এরই মধ্যে লিগ জিতে যাওয়া বায়ার্নের একাদশে খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর নীতির কারণে গত কিছুদিনে বেশ কিছু সময় মাঠের বাইরে কাটানো লেভা রেকর্ডটা ছুঁয়েছেন এই মৌসুমে মাত্র ২৮ ম্যাচ খেলে! এখনো এবারের লিগে একটি ম্যাচ বাকি আছে বায়ার্নের।

ম্যাচের আগে তাঁর খেলা না-খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু গতকালই খবর এসেছিল, হাঁটুর চোট কাটিয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন লেভানডফস্কি। আজ একাদশেই ছিলেন। ২৬ মিনিটে পেয়ে গেলেন গোল।

আরও গোল করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়াও করেছেন লেভা।
ছবি: রয়টার্স

শেষ পর্যন্ত দল জিতল না, এ-ই হয়তো যা একটু আক্ষেপ থাকতে পারে গত মৌসুমে মেসি-রোনালদো-নেইমার-এমবাপ্পেদের দর্শক বানিয়ে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেওয়া লেভানডফস্কির।

লেভার গোলের তিন মিনিট পরই সমতা ফেরায় ফ্রাইবুর্গ। এরপর লিরয় সানের গোলে ৫৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় বায়ার্ন। কিন্তু ৮১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান গুন্টারের গোলে দ্বিতীয়বার সমতা ফেরায় ফ্রাইবুর্গ।