৬৪ বছর বয়সী গীতিকার যখন ফুটবলার

এএসডি সোনার হয়ে মাঠে মাইকনের সতীর্থ হিসেবে খেলেন রুগেরি (ডানে)।ছবি: টুইটার

‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’—বাংলা প্রবাদটির মতো এখন বলা যায় ‘যে গান লেখে সে ফুটবলও খেলে’। যদিও এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বলে লাথি মারেনি, এমন কোনো মানুষ এই ধরিত্রীতে বোধ হয় নেই!

কিন্তু বয়সটা যদি হয় ৬৪ বছর, আর সেই বয়সে যদি খেলতে নামেন অপেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, তা–ও যিনি আবার অন্য ভুবনের তারকা, তাহলে একটু অবাক হতেই হয়।

এনরিকো রুগেরি সত্যিই অবাক করেছেন। ইতালিয়ান গানের ভুবনে বেশ জনপ্রিয় তিনি। গান গাওয়ার সঙ্গে গানও বাঁধেন, মানে গান লেখেন। পাশাপাশি তিনি ইন্টার মিলানের জনপ্রিয় ভক্তদের একজন। তবে গীতিকার হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।

ইতালির সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো নিয়ে প্রতিযোগিতা সানরেমো মিউজিক ফেস্টিভ্যাল জিতেছেন দুবার। তো এই রুগেরি এখন আলোচনায় ফুটবল খেলে—রোববার ইতালিয়ান ফুটবলের চতুর্থ বিভাগের দল এএসডি সোনার হয়ে অভিষেক ঘটেছে এই ৬৪ বছর বয়সীর!

সিরি ডি—ইতালিয়ান অপেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়। এএসডি সোনার হয়ে এই পর্যায়ে অভিষেকে অবশ্য বেশিক্ষণ মাঠে ছিলেন না রুগেরি। তবে এ বয়সে ৯ মিনিট মাঠে থাকাই তো অনেক। যদিও ট্রাইটিয়াম ক্যালসিওর বিপক্ষে ঘরের মাঠে তাঁর দল ১–০ গোলে হারায় অভিষেকটা সুখকর হয়নি রুগেরির। মাঠে ১০ নম্বর জার্সি পরে নেমেছিলেন তিনি।

ইতালির উত্তরাঞ্চলে ছোটখাটো শহর সোনা। ভেরোনা প্রদেশে ১৮ হাজার জনবসতির এই শহরে আধা পেশাদার ক্লাবটির সভাপতি রুগেরিকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। ফুটবলভক্ত হওয়ায় গত এপ্রিলেই এই অনুরোধ রক্ষা করেন রুগেরি।

ইতালির গানের ভুবনে রুগেরি বেশ জনপ্রিয়।
ছবি: টুইটার

তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একজন প্লেমেকার। ফরোয়ার্ডদের পেছনে খেলি। সভাপতি আমাকে আমন্ত্রণ জানান, আর আমিও নতুন রোমাঞ্চের খোঁজে আগ্রহের সঙ্গে যোগ দিই। মাইকনের এখানে খেলাও আমার যোগ দেওয়ার আরেকটি কারণ।’

ব্রাজিলের সাবেক রাইটব্যাক ও ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী ৩৯ বছর বয়সী মাইকন এ বছর জানুয়ারিতে ছয় মাসের চুক্তিতে যোগ দিয়েছেন সোনায়। তাঁর সতীর্থ হিসেবেই মূল একাদশে মাঠে নেমেছিলেন রুগেরি।