৮০০ গোল ডাকছে রোনালদোকে

৮০০ গোলের পথে রোনালদো?ছবি: রয়টার্স

ফুটবল ইতিহাসে অফিশিয়াল ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতা কে—এ প্রশ্ন উঠেছিল কাল রাতেও। জোসেফ বাইকানকে ধরা হয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু তাঁর গোলের সঠিক সংখ্যা নিয়ে নানা মত আছে। কিছু হিসাবমতে বাইকানের গোলসংখ্যা ৭৫৯। এই হিসাব ধরে কাল আরও একবার অফিশিয়াল ম্যাচের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আরও একবার বলতে অফিশিয়াল ম্যাচের গোলসংখ্যার সঠিক হিসাব কোনো তথ্য-উপাত্তে নেই। তবে রোনালদোই যে এখন ইতিহাসের এই পাতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা, তা নিয়ে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমেরই অন্তত কোনো সন্দেহ নেই।

নাপোলিকে কাল ২-০ গোলে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছে জুভেন্টাস। এ ম্যাচে ৬৪ মিনিটে গোল করেন রোনালদো। যোগ করা সময়ে ম্যাচের শেষ শট থেকে গোল করে জুভেন্টাসের জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারো মোরাতা। ভলি থেকে গোলটি করেন রোনালদো। অফিশিয়াল ম্যাচে এ নিয়ে ৭৬০ গোল করলেন পর্তুগিজ তারকা। ৩৫ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড খেলা চালিয়ে গেলে ন্যূনতম ৮০০ গোলের দেখা যে পাবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কুয়াদ্রাদোর পাস থেকে শেষ গোলটি করেন মোরাতা। এর আগে দারুণ একটি সেভ করেন ‘জুভ’ গোলরক্ষক সেজনি। ‘তুরিনের বুড়ি’দের কোচ হিসেবে এটাই প্রথম শিরোপা আন্দ্রেয়া পিরলোর।

জুভেন্টাসের দ্বিতীয় গোলটি মোরাতার।
ছবি: রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর এ নিয়ে চারটি শিরোপা জিতলেন রোনালদো। তবে জুভেন্টাসের এ মৌসুমে লিগ শিরোপাজয় ভীষণ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ১৭ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে রয়েছে দলটি। শীর্ষস্থানীয় এসি মিলানের সঙ্গে ১০ পয়েন্টের ব্যবধান। রোনালদো অবশ্য সুপার কোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস লিগ দৌড়ে ঢেলে সাফল্য তুলে নিতে চান, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি। মিলান ও ইন্টার কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে শিরোপাজয়ের জন্য যা যা দরকার, সেসব আছে আমাদের। আমার মনে হয় স্কুদেত্তো (সিরি’আ শিরোপা) জয় এখনো সম্ভব।’

নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন নাপোলির লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। গোলটি হলে ম্যাচের বাকি সময়ের খেলা অন্য রকমও হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নবম সুপার কাপ জিতে নেয় জুভেন্টাসই। জয়ের পর পিরলো বলেন, ‘ট্রফি জেতাটা ভীষণ আনন্দের। খেলোয়াড় হিসেবে জিততে পারা আরও ভালো। আমরা নিজেদের গর্বের জায়গাটা দেখাতে পেরেছি।’

জয়ের আনন্দ টুইটারেও ভাগ করে নেন রোনালদো। তাঁর টুইট, ‘ইতালিতে চতুর্থ শিরোপা জিততে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমরা ফিরে এসেছি! এই জুভকেই আমরা ভালোবাসি, এই জুভেই আস্থা রাখি আমরা।’ নাপোলির আন্দ্রেয়া পেতাগনার দুর্দান্ত এক হেড দারুণ দক্ষতায় সেভ করেন সেজনি। ইনসিনিয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলে এবং পেতাগনার হেড জালে পৌঁছালে ম্যাচে ফল অন্য রকমও হতে পারত।