৯ বছরে শেষ জুভেন্টাসের ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’

এভাবেই নিজেদের শিরোপা জয়ের কথা জানিয়েছে ইন্টার।ছবি: টুইটার

সাসসুয়োলোর মাঠে খেলা। খেলছিল সাসসুয়োলো আর আতালান্তা। কিন্তু টিভি পর্দায় সবচেয়ে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন আন্তোনিও কন্তে, রোমেলু লুকাকু আর লওতারো মার্তিনেজরা। কায়মনোবাক্যে আজ তারা সাসসুয়োলোর জন্য প্রার্থনা করে গেছেন। খুব বেশি কিছু নয়, দুর্দান্ত আক্রমণভাগের আতালান্তাকে হারাতেও হবে না, শুধু কোনোমতে জয় আটকে দিতে পারলেই হবে স্বাগতিকদের। আর তাহলেই ফুরোবে ইন্টার মিলানের ১০ বছর অপেক্ষা।

সাসসুয়োলো হতাশ করেনি। আতালান্তাকে ঘরের মাঠে আটকে দিয়েছে তারা। স্নায়ুচাপে পূর্ণ এক ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ গোলে। আর তাতেই সিরি ‘আ’তে জুভেন্টাসের ৯ বছরের রাজত্ব শেষে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অন্য কারও কাছে গেল। লিগে চার ম্যাচ বাকি থাকতেই সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে ইন্টার। ২০১০ সালে জোসে মরিনিওর ট্রেবল জেতা সে দলের পর আবার ইন্টারকে লিগ শিরোপার স্বাদ দিলেন লুকাকু, মার্তিনেজ, আলেক্সিজ সানচেজরা।

গতকালই নিজেদের কাজটা করে রেখেছিল ইন্টার। ক্রোতোনের মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছেন এরিকসেন-আশরাফ হাকিমিরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে দুইয়ে থাকা আতালান্তার চেয়ে ১৪ পয়েন্ট এগিয়ে যায় তারা। তাতেই পরিষ্কার হয় সমীকরণ। আজ আতালান্তা যদি নিজেদের ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট না পায়, তাহলেই নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ইতালি।

শিরোপা স্বপ্ন বাঁচাতে হলে জিততেই হবে, এমন চাপ নিয়ে ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়নি আতালান্তার। ২২ মিনিটে সাসসুয়োলোর একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখে বসেন আতালান্তা গোলকিপার পিয়েরলুইজি গোল্লিনি। তবু ধাক্কা সামলে ঠিকই ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল আতালান্তা। ৩৪ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে শট নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন লেফটব্যাক রবিন গোসেনস।

এই অগ্রগামিতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে আতালান্তা। কিন্তু একজন কম খেলোয়াড় নিয়ে খেলার ধকল ঠিকই প্রভাব ফেলেছে ম্যাচে। ৫০ মিনিটে পেনাল্টি পায় সাসসুয়োলো। সেখান থেকে ডমেনিকো বেরার্দি দলকে সমতায় ফেরান। এরপর দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ৭৫ মিনিটে অন্য রকম এক সমতা ফিরে পেছে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মারলন সান্তোস। ডি-বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় আতালান্তা। লিগের দৌড় আরেকটু জমে উঠবে বলে মনে হয়েছিল।

কিন্তু আতালান্তার স্ট্রাইকার লুইস মুরিয়েল গোল করতে পারেননি! ইন্টারের ১৯তম স্কুদেত্তো শিরোপা জয়ের উৎসব তখনই হয়তো শুরু হয়ে গিয়েছিল।