'বাংলাদেশের সঙ্গে তামাশা করল রেফারি'

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি

ওটা কীভাবে কর্নার হয়?

এখনো অনেকে বিশ্বাস-ই করতে পারছেন না গতকাল এসএ গেমস ফুটবলে মালদ্বীপ-বাংলাদেশ ম্যাচের ওই মুহূর্ত। সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল গোলমুখ থেকে জালে জড়িয়েছিলেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। অথচ নেপালের সহকারী রেফারি দিলেন কর্নারের সংকেত। সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল কীভাবে কর্নার হয়, স্বাভাবিকভাবে সবাই হতভম্ব। বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে তো কোনো রাখ ঢাক না রেখেই বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তামাশা করেছেন রেফারি।

>

কাঠমান্ডুতে চলমান দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে গতকাল মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচটিতে রেফারির ভুলে গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানের কাছে হারের পর গতকাল ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু রেফারির গোল বঞ্চিত ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় আত্মঘাতী গোলে। অথচ ২১ মিনিটে রেফারি ওই ভুল না করলে ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। সেখান থেকে মালদ্বীপের জন্য ম্যাচে ফেরা ছিল কষ্টসাধ্য। বিষয়টি পোড়াচ্ছে জেমি ডেকে, ‘ওটা কীভাবে কর্নার হয়, আমার জানা নেই। রেফারি আমাদের সঙ্গে তামাশা করলেন। আমাদের ন্যায্য গোলটা বাতিল করা হয়েছে। অথচ ওই গোলটা হয়ে গেলে ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতাম আমরা। সেখান থেকে মালদ্বীপ আর ম্যাচে ফিরতে পারত না।’ মালদ্বীপের সমতাসূচক গোলটি এসেছে ৭০ মিনিটে।

সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে কাঠমান্ডু গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচ শেষে পুঁজি মাত্র ১ পয়েন্ট। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ যেভাবে দুটি ম্যাচ খেলেছে, তাতে ব্রোঞ্জ জেতাটাও কঠিন হতে পারে। ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশকে পরের দুই ম্যাচে জিততেই হবে। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর ফলের দিকে। বাংলাদেশ কোচ এখনো ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘আমাদের দুটি ম্যাচ এখনো বাকি আছে। এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব।’

এখানে দেখুন,যেভাবে ন্যায্য গোল বাতিল হলো বাংলাদেশের: