ইউনাইটেডকে আবারও ৭–০ গোলে হারাতে চান এই লিভারপুল ফরোয়ার্ড

গত মৌসুমে ইউনাইটেডকে ৭ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পথে লিভারপুলের উদ্‌যাপনএএফপি

ইংলিশ ফুটবলে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচ মানেই যেন আগুনে লড়াইয়ের অপেক্ষা। দুই দলের দ্বৈরথের ইতিহাসটাও বেশ পুরোনো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সেই উত্তাপের দেখা মেলে সামান্য। বিশেষ করে ম্যাচটা যদি হয় অ্যানফিল্ডে, তবে লিভারপুলের দাপটই যেন শেষ কথা

ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে ২০১৬ সালের জানুয়ারির পর আটবার অ্যানফিল্ডে গিয়ে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি ইউনাইটেড। এমনকি এই আট ম্যাচের সাতটিতে কোনো গোলও করতে পারেনি ‘রেড ডেভিল’রা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যে ম্যাচটিতে ইউনাইটেড গোল করেছিল, সেটিতে তারা শেষ পর্যন্ত হেরেছিল ৩-১ গোলে।

আরও পড়ুন

আর অ্যানফিল্ডে সর্বশেষ ম্যাচটির কথা তো সবার আগেই ভুলে যেতে চাইবে ইউনাইটেড সমর্থকেরা। যে ম্যাচে লিভারপুলে মাঠে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছিল ইউনাইটেড। সেই ম্যাচের পর আজ প্রিমিয়ার লিগে ফের অ্যানফিল্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। ভুলে যেতে চাইলেও বারবার সামনে আসছে সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ। এমনকি লিভারপুল ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো তো আবার উড়িয়ে দিতে চান ইউনাইটেডকে।

অ্যানফিল্ডে এই ফল আবার ফেরাতে চায় লিভারপুল
রয়টার্স

লিভারপুল ৭-০ গোলের রাতে গাকপো নিজেই করেছিলেন জোড়া গোল। এমনকি ম্যাচে গোলের খাতাও খুলেছিলেন এই ডাচ তারকা। সেদিনের স্মৃতি মনে করে গাকপো বলেছেন, ‘ম্যাচটা দারুণ ছিল। আমরা জানতাম যে আমাদের জিততেই হবে এবং প্রথমার্ধে দুই দলই ভালো খেলেছিল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আমরা দারুণভাবে আধিপত্য বিস্তার করে খেললাম এবং অনেকগুলো গোল করলাম। আমি বিরতির আগে গোল করলাম। আর দ্বিতীয়ার্ধের দুই মিনিটের মাথায় গোল করল ডারউইন (নুনিয়েজ)। এর দুই মিনিট পর আবার আমি তৃতীয় গোল করলাম। প্রথমার্ধের পর এত দ্রুত গোল করা এবং ম্যাচ শেষ করে দেওয়া আমাদের পক্ষে ভালো ছিল। এটা দারুণ ছিল।’

আবারও সেই স্মৃতি ফেরাতে চান জানিয়ে গাকপো আরও বলেছেন, ‘একটা পর্যায়ে আমরা গোলসংখ্যার দিকে তাকানো বন্ধ করে দিলাম। আমরা আধিপত্য বিস্তার করে নিজেদের সেরাটা দেখাতে চাচ্ছিলাম শুধু। আমার মনে হয়, সেই ম্যাচটা আমাদের সবার জন্য দারুণ ছিল। আশা করি, আমরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে পারব।’

আরও পড়ুন

লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ অবশ্য তেমনটা ভাবেন না। এমনকি সেই ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে জেতাটা অস্বাভাবিক ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন এ জার্মান কোচ, ‘আমরা জানি যে সেদিনের ৭-০ ফলটা ছিল অস্বাভাবিক, এমন কিছু জীবনে একবারই ঘটে। পরের ম্যাচে এটা যদি কাউকে সাহায্য করে তবে সেটা ৭-০ গোলে যারা হেরেছে তাদের করবে। যারা ৭-০ গোলে জিতেছে, তাদের করবে না।’

এ সময় ইউনাইটেডের কোথায় ভুল হচ্ছে, জানতে চাইলে ক্লপ বলেছেন, ‘আমি ইউনাইটেডকে ভালোভাবে অনুসরণ করিনি, তাই আমি জানি না আসলে সমস্যা কোথায়। কিন্তু আমি দেখেছি টেন হাগ গত মাসে মাসসেরা কোচ হয়েছে এবং ফলের দিক থেকে গত মাসে তারা ছন্দে থাকা দল ছিল। তাহলে সবকিছু ভুল কীভাবে হয়? আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না।’