ধোনির উপহার ব্যাগে নিয়ে ঘোরেন গুরবাজ

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। সর্বশেষ আইপিএলেছবি: টুইটার

জুলাইয়ে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর জিম আফ্রো টি-টেন টুর্নামেন্টেও ভালো করেছেন এই আফগান ওপেনার। ৯ ম্যাচে দুটি ফিফটিসহ করেছেন ২৮২ রান। এ বছর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও ভালো করা গুরবাজের সামনে এখন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট নেক্সট’–এর সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ছাড়াও জানিয়েছেন পছন্দের খেলোয়াড়ের নাম। পছন্দ বলতে যাঁকে আদর্শ মেনে এসেছেন, আর সেই খেলোয়াড়টি ভারতের কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি।

আরও পড়ুন

গুরবাজ এরই মধ্যে আফগানিস্তানের উঠতি ক্রিকেটারদের প্রেরণা। দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য তাঁকে আলোচনায় তুলে এনেছে। ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর প্রেরণা কে? কাকে অনুসরণ করে গুরবাজ ক্রিকেটে উঠে এসেছেন? শুনুন গুরবাজের মুখেই, ‘আমার মনে হয় সবাই জানে, কে আমার প্রেরণা ও আদর্শ এবং কাকে দেখে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। আমি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখে ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আমি ধোনিকে ভালোবাসি। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে এবং দেখা করতে ভালো লাগে। যখনই দেখা করার সুযোগ পেয়েছি, তখনই গিয়েছি। তিনিই আমার সবচেয়ে পছন্দের।’

এ বছর আইপিএলে কলকাতার হয়ে ১১ ম্যাচে গুরবাজ ২২৭ রান করেছেন ১৩৩.৫২ স্ট্রাইক রেটে। গুরবাজ জানিয়েছেন, ২০২২ আইপিএলে গুজরাটের হয়ে খেলার সময় প্রথম ধোনির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর, ‘প্রথম ধোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে গুজরাট টাইটানসে খেলার সময়। অনেক চাপে ছিলাম, তাই তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। কিন্তু তিনি যেভাবে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যে আচরণ করেছিলেন, তাতে আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম এবং তারপর আমি কথা বলেছি। এ বছর দেখা হওয়ার পর ক্রিকেট এবং তাঁর জীবনযাপন নিয়ে কথা বলেছি। জানতে চেয়েছিলাম, কীভাবে নিজের জীবনটা আরও উন্নত করতে পারি? কীভাবে ক্রিকেটে আরও ভালো করতে পারি? এসব নিয়ে তাঁর বলা কথাগুলো আমি খাতায় টুকে রেখেছি। এগুলো বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও আমাকে সাহায্য করবে। তাই তিনিই আমার চিরকালীন আদর্শ।’

আরও পড়ুন

গুরবাজ ধোনির কত বড় ভক্ত, তা আরও ভালোভাবে বোঝা যায় অন্য কথায়। আফগান তারকা বলেছেন, ‘আমি তাঁর কথাগুলো সব সময় মনে রাখব। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া সবকিছুই সযত্নে সংগ্রহে রেখেছি। সেসব আমার ব্যাগেই আছে। যখনই একটু চাপের মধ্যে থাকি, তখনই সেগুলো বের করে দেখে ভাবি, কেন ক্রিকেট খেলছি।’