এবার শুটিংয়েও শুরু হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ

শুটিংয়ে শুরু হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগপ্রতীকি ছবি

ক্রিকেট, ফুটবল, হকির মতো শুটিংয়েও প্রিমিয়ার লিগের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন। গত পরশু শুটিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।

ছয়টি করপোরেট দল নিয়ে লিগ শুরু করবে ফেডারেশন। সব ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে প্রিমিয়ার শুটিং লিগ। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল, ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ও ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল—এই তিন ইভেন্ট থাকবে লিগে। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য প্রতিটি দল নিতে পারবে সর্বোচ্চ ছয়জন করে শুটার। এর মধ্যে প্রতিটি দলে দুজন করে নারী শুটার থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতি দলে শুটিংয়ে অংশ নেবেন চারজন করে শুটার, তাঁদের মধ্যে একজন থাকবেন নারী শুটার।

কর্পোরেট হাউজগুলো অংশ নেবে শুটিংয়ের প্রিমিয়ার লিগে
ছবি: প্রথম আলো

বসুন্ধরা কিংস, বেক্সিমকো, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ও দেশের নামকরা বিভিন্ন টেক্সটাইল কোম্পানিকে এ লিগে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে।

দেড় মাস চলবে প্রিমিয়ার লিগ শুটিং। প্রতি সপ্তাহের শনিবার হবে প্রতিযোগিতা। চ্যাম্পিয়ন দল ছাড়াও একজনকে দেওয়া হবে ব্যক্তিগত সেরা শুটারের পুরস্কার।

বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ জানিয়েছেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই শুটিং লিগ চালুর পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু নানা কারণে সেটা আলোর মুখ দেখছিল না। অবশেষে লিগ শুরুর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। পুরো প্রস্তাবনার একটা খসড়া পরিকল্পনা ইসি (কার্যনির্বাহী) কমিটি থেকে অনুমোদন করানো হয়েছে। এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হলেই বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানাতে শুরু করব।’

বাংলাদেশে শুটিং লিগ আয়োজনের ধারণাটা মূলত জার্মানি থেকে নিয়েছেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা। ১৯৯৭ সালে জার্মান শুটিং ফেডারেশন চালু করে শুটিং বুন্দেসলিগা। জার্মানিতে অবশ্য শুধু ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ও ১০ মিটার এয়ার পিস্তল—দুটি ইভেন্ট নিয়ে লিগ আয়োজন করা হয়। জার্মানিতে সাধারণত বুন্দেসলিগার মৌসুম শুরু হয় অক্টোবর মাসে। পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লিগ চলে। তবে শুধু জার্মানি নয়, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতেও শুটিং লিগের আয়োজন করা হয়।

দেশে প্রথমবার আয়োজিত হবে শুটিং লিগ। খবরটা শুনে উচ্ছ্বসিত শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি, ‘শুটারদের জন্য এই লিগ ভালো কিছু বয়ে আনবে। ফুটবল ক্রিকেটের মতো শুটিংয়েও পেশাদারত্ব আসবে বলে আশা করি। আমাদের জন্য প্রতিযোগিতার একটা প্ল্যাটফর্মও বাড়বে। যেহেতু করপোরেট প্রতিষ্ঠান আসবে, তাই জাঁকজমকপূর্ণভাবেই হবে এটা এবং শুটিংয়ের আকর্ষণও বাড়বে। শুটারদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ কাজ করবে।’

এসএ গেমসে সোনাজয়ী শুটার শাকিল আহমেদ এই লিগকে দেখছেন শুটিংয়ের নতুন মাইলফলক হিসেবে, ‘আমরা এই লিগের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। যেহেতু এটা আমাদের জন্য নতুন, ঢাকার বাইরের অনেক ক্লাব নতুন শুটার তৈরির চেষ্টা করবে। জাতীয় দলের যারা আছে, তাদেরও আগ্রহ বাড়বে ভালো কিছু করার। তা ছাড়া প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় সেটার প্রভাব আন্তর্জাতিক শুটিংয়েও পড়বে। সব মিলিয়ে আমাদের শুটিংয়ের জন্য এটা একটা নতুন মাইলফলকই হবে।’