জাতীয় কোচকে পাত্তা না দিয়ে ক্ষোভের মুখে ভারতীয় নারী ক্রীড়াবিদ

শাস্তি হতে পারে মনিকা বাত্রার।সংগৃহীত ছবি

টোকিও অলিম্পিকে ভারত টেবিল টেনিসে চার সদস্যের দল পাঠিয়েছে। সঙ্গে আছেন একজন কোচ। কিন্তু নারী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মণিকা বাত্রা সেই কোচের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে চান না। দেশ থেকেই নিজের কোচ উড়িয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবেই ভালো চোখে দেখছে না ভারতীয় টেনিস ফেডারেশন।

অলিম্পিকে ভারতীয় টেবিল টেনিস দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়। তিনি নিজেও একজন বিখ্যাত টেবিল টেনিস তারকা। ২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসের টিম ইভেন্টে সোনা জয়ের গৌরব আছে তাঁর ক্যারিয়ারে। পেয়েছেন ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার—অর্জুন। এমন একজন কোচকেও কিনা উপেক্ষা করে চলেছেন মণিকা!

এই নারী টেবিল টেনিস তারকা ভারত থেকে তাঁর ব্যক্তিগত কোচকে টোকিও নিয়ে গেছেন। সন্ময় পরঞ্জাপে নামের সেই কোচ অবশ্য অলিম্পিকে ভারতীয় কন্টিনজেন্টের অংশ নন, তাই কোনো ম্যাচেই তিনি মণিকার সঙ্গে টেবিল টেনিস স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। সর্বভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন পুরো বিষয়কেই দেখছে দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে। দেশে ফিরলে মণিকাকে বড় ধরনের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

কী কারণে জাতীয় কোচকে অবজ্ঞা করছেন মণিকা? ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ব্যক্তিগত ‘ইগো’ই খুব সম্ভবত মণিকার এ আচরণের মূল কারণ। সৌম্যদীপ অন্য এক নারী টেবিল টেনিস তারকার ব্যক্তিগত কোচ, সে কারণেই তাঁকে জাতীয় কোচ হিসেবে অবজ্ঞা করে চলেছেন মণিকা। অলিম্পিকে ব্যক্তিগত কোচ নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ আছে। কিন্তু জাতীয় কোচ থাকতে ব্যক্তিগত কোচের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যাপারটি ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশনকে বেশ বিব্রত করছে।

টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় টেবিল টেনিস দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়।
ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সচিব অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘পুরো বিষয়ই আমাদের জন্য বিব্রতকর। জাতীয় দলের শিবির ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের জায়গা হতে পারে না। মণিকা ভারতের শীর্ষ ক্রীড়াবিদ, তিনি দেশকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু টোকিও গিয়ে তিনি যা করছেন, সেটি দেশের জন্য সম্মানহানিকর। দলীয় শৃঙ্খলাও নষ্ট করেছেন তিনি। দেশে ফেরার পর অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’