পরাজয় নিশ্চিতভাবেই হতাশার। তবে সেটির বহিঃপ্রকাশ যদি হয় ইউনেস বাআল্লার মতো, তাহলে সেটি ‘অগ্রহণযোগ্য’। বলতে পারেন ‘অদ্ভুত’-ও। নিজের হার মানতে না পেরে প্রতিপক্ষকে কেউ কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে কীই–বা বলার থাকে!
ঘটনাটি টোকিও অলিম্পিকে। ২২ বছর বয়সী মরক্কোর হেভিওয়েট বক্সার বাআল্লার খেলা ছিল নিউজিল্যান্ডের ডেভিড নাইয়িকার বিপক্ষে। ১৬ রাউন্ডের ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পেয়েই হেরেছেন বাআল্লা।
তৃতীয় রাউন্ডে নাইয়িকাকে কামড়ে দিতে ধরেন তিনি। ভিডিওতে দেখা গেছে, নাইয়িকার কান বরাবর কামড় বসিয়েছিলেন বাআল্লা। এমন আচরণে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।
টোকিও অলিম্পিকের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, বাআল্লার আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘অখেলোয়াড়সুলভ।’
বাআল্লা কামড় দেওয়ার চেষ্টা করলেও নাইয়িকা তেমন কোনো চোট পাননি। নাইয়িকা বলেছেন, বাআল্লা চেষ্টা করলেও ঠিকঠাক ‘কামড়’ বসাতে পারেননি, ‘সে পুরো মুখটা বসাতে পারেনি। সৌভাগ্যক্রমে তার মুখে গার্ড ছিল। আর আমিও ঘেমে ছিলাম।’
নাইয়িকার জন্য কামড় খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসেও প্রতিপক্ষ তাঁর বুকে কামড় বসিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে অলিম্পিকেও এমন কিছু ঘটবে, ভাবতেই পারেননি এই কিউই! বাআল্লার আচরণ নিয়ে টোকিও অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, ‘নিশ্চিতভাবেই বাআল্লা প্রতিপক্ষের কান বা মুখ বরাবর কামড় বসাতে চেয়েছিল লড়াইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে।’