তুরস্কে আরেকটু হলেই ৯ ছুঁতে পারতেন ইমরানুর

১০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে সবাইকে চমকে দিয়েছেন বাংলাদেশের দ্রততম মানবছবি: প্রথম আলো

হতাশার কমনওয়েলথ গেমস শেষে বাংলাদেশ দলের চোখ এবার ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে। এবারের আয়োজক তুরস্কের কনিয়া শহর। কাল থেকে শুরু হচ্ছে গেমসের পঞ্চম আসর। যদিও এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি খেলা শুরু হয়ে গেছে।

গতকাল বাংলাদেশের নারী হ্যান্ডবল দল তুরস্কের কাছে ৫১-১০ গোলে হেরেছিল। আর টেবিল টেনিসের মেয়েদের এককে সাদিয়া রহমান উঠেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে।

তবে আজ ইরানের খেলোয়াড়ের কাছে ৩–০ সেটে হেরে একক থেকে বিদায় নিয়েছেন সাদিয়া। টেবিল টেনিসে হতাশার গল্প শোনালেও আশা জাগিয়েছেন স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান।  

অ্যাথলেটিকস দলের মধ্যে সবার আগে আজ ট্র্যাকে নেমেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে নেমে সবাইকে চমকে দেন লন্ডনপ্রবাসী এই অ্যাথলেট।

১০.০১ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে উঠেছেন সেমিফাইনালে। আগামীকাল হবে এই ইভেন্টের সেমিফাইনাল। এখন পর্যন্ত এটাই ইমরানুরের ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং।

গত সপ্তাহে বার্মিংহামের কমনওয়েলথ গেমসে আশা জাগিয়েও সেমিফাইনালে উঠতে পারেননি ইমরানুর। ১০.৪৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে হিটে সাতজনের মধ্যে হন তৃতীয়। এবার তুরস্কে গিয়ে টাইমিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছেন।

সময় কমিয়ে এনেছেন ০.৪৫ সেকেন্ড। হিটে ইমরানুরের সামনে ছিলেন আইভরি কোস্টের স্প্রিন্টার আর্থার সিসে। তিনি ৯.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়ে নিজের হিটে দৌড় শেষ করেন।

এবারের ইসলামিক গেমসে ১১টি খেলায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে তুরস্কে পৌঁছে গেছে অ্যাথলেটিকস, টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিকস ও হ্যান্ডবল দল। গতকাল রাতে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে শুটিং, ভারোত্তোলন, কুস্তি খেলোয়াড়েরা।

গেমসে বাংলাদেশের পতাকাবাহক এসএ গেমসে সোনাজয়ী ফেন্সিং খেলোয়াড় ফাতেমা মুজিব এই দলের সঙ্গী হয়েছেন। তবে আগামীকাল আর্চারি ও সাঁতার দলের সঙ্গে তুরস্ক যাবেন ফেন্সিং দলের বাকি তিন খেলোয়াড় মনির হোসেন, রুবেল মিয়া, কামরুল ইসলাম ও কোচ আবু জাহিদ চৌধুরী। সবার শেষে ১৪ আগস্ট তুরস্ক যাবে কারাতে দল।

তুরস্কে আরেকটু হলেই ৯ ছুঁতে পারতেন ইমরানুর
ছবি: সংগৃহীত

শুটিং আর আর্চারি না থাকায় টানা পাঁচ আসর পর কমনওয়েলথ গেমস থেকে এবার খালি হাতে ফিরছে বাংলাদেশ। তবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে এই দুটি খেলা রয়েছে।

এই গেমসে আর্চারি, শুটিং ও অ্যাথলেটিকস থেকে পদকের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেমিফাইনালে উঠে এরই মধ্যে সেই সম্ভাবনার পথে নিজেকে এগিয়ে রাখলেন ইমরানুর।

কমনওয়েলথ গেমসের চেয়ে টাইমিং কমাতে পেরে উচ্ছ্বসিত ইমরানুর, ‘অবশ্যই ১০.০১ সেকেন্ড দারুণ স্কোর। এটা আমার ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং। আসলে ভালো ফর্মে থাকার কারণেই এমনটা হয়েছে।

আশা করি আরও ভালো টাইমিং করতে পারব সেমিফাইনালে। ওরিগনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গিয়ে আমি চোটে পড়ি। এরপর সেই চোট থেকে সেরে ওঠার চেষ্টা করেছি। ভালো টাইমিংয়ে দৌড়াতে চেয়েছি।

সেটা এখানে সম্ভব হয়েছে। পদক জিততে পারব কি না, সেটা এখনই বলা যাবে না। কারণ, সেমিফাইনালে অন্য কারা উঠছে, তার ওপর পদক জয় নির্ভর করবে। তবে আমি এখানে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’