‘দেশ তো কিছু দিল না’, রোমান সানার আক্ষেপ কি গোটা ক্রীড়াঙ্গনেরই

আক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন রোমান সানাফাইল ছবি
জাতীয় আর্চারি দল থেকে রোমান সানার অকাল অবসর নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ দুষছেন রোমানকে, কেউ দেশের প্রচলিত ক্রীড়াকাঠামোকে, যেখানে একজন ক্রীড়াবিদের আর্থিক নিরাপত্তা নেই। আর্চারির বিশ্বকাপ ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পদক আনা রোমানের ‘দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছি, দেশ তো কিছু দিল না’ আক্ষেপও এখন তুমুল আলোচিত। সত্যিই কি ক্রীড়াবিদদের কিছু দেয় না দেশ? কী বলছেন বিভিন্ন খেলার সেরারা? তাঁদের কথায় উঠে এসেছে রোমান সানা এভাবে অবসর নিয়ে ঠিক করলেন কি না, সেই প্রসঙ্গও। এর চেয়ে বড় বিতর্ক বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদের কথা নিয়ে। রোমান সানাকে ‘মানসিক রোগী’ বলায় ক্ষোভটা সর্বজনীন।

‘বলা হয়েছে, রোমান মানসিক রোগী, শুনে বিস্মিত হয়েছি’

আবদুল্লাহ হেল বাকি
২০১৪ ও ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে রুপাজয়ী শুটার

আবদুল্লাহ হেল বাকি
প্রথম আলো

দুটি কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জিতেও রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কিছু পাননি শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। একটা অভিনন্দনবার্তাও জোটেনি বলে বাকির অনেক আক্ষেপ। এসব নিয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই বলে এখন তা বলতেও চান না। তবে বিশেষভাবে টেনে আনেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ (কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট খেলে প্রথম) হিসেবে অলিম্পিক গেমসে সরাসরি রোমানের খেলার ব্যাপারটা। যা সাধারণ কোনো সাফল্য নয়। বাকি তাই বলেন,‘অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করা কঠিন পরিশ্রম আর মেধার ফল। রোমান তা অর্জন করেছে।’
এমন একজনকে ‘মানসিক রোগী’ বলায় ভীষণ অবাক বাকি। আর সেটা প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘শুনলাম বলা হয়েছে, ও মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রথমে তো বিশ্বাসই হয়নি। পরে শুনেছি, সত্যি সত্যিই নাকি এমন বলা হয়েছে।’ কথাটা এমন একজন বলেছেন, যিনি রোমান সানার অভিভাবকও বটে। আর এটাই বড় বিস্ময়ের কারণ বাকির কাছে, ‘ফেডারেশন সম্পাদকের কথার বিরোধিতা আপনি করতে পারবেন না। এখন রোমান সানা যদি অসুস্থ হয়, তাহলে আমরা ব্যক্তিগত ইভেন্টের খেলোয়াড়েরা সবাই অসুস্থ।’
রোমানকে এক-দেড় বছর ধরে মনোবিদ দেখানো হয়েছে। সেসব কাগজ বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনে রক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন কাজী রাজীব উদ্দীন। কিন্তু মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়া মানেই কি মানসিক রোগী? এখানেই বাকির আরেকটা বিস্ময়, ‘আমরা শুটাররাও তো মনোবিদের কাছে গেছি। তার মানে কি আমরা মানসিক রোগী!’

‘রোমান যা করেছে, ঠিক করেছে’

আসিফ হোসেন খান
কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার

আসিফ হোসেন খান
প্রথম আলো

রোমানের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত আছে। তবে তাঁর সেই ‘দেশ কী দিল’ আক্ষেপে ব্যথিত শুটার আসিফ হোসেন খান। নিজের জীবনের সঙ্গে রোমানের বিষয়টা মিলিয়ে আসিফ বলেন, ‘একদিক থেকে ও যেটা বলেছে, ঠিক আছে। দেখা যায়, ব্যক্তিগত ইভেন্টের খেলোয়াড়েরা একটা পদক জিতে আসে, এদিক-সেদিক থেকে কিছু টাকাপয়সা পায়। কিন্তু পরে আর খবর থাকে না।’ আসিফ নিজের উদাহরণও টানেন, ‘২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতে আসার পর কথা ছিল, আমাকে নিটল টাটা স্পনসর করবে। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্পনসর করবে বলেছিল। কিন্তু পরে আর কিছু হয়নি। এমনকি সেবার মেলবোর্ন থেকে ফেরার পর তখনকার সেনাপ্রধান আমাকে বলেছিলেন, “তুমি কী চাও?” আমি বলেছিলাম, সেনাবাহিনীর অফিসার হতে চাই। তিনি দেখবেন বলেছিলেন। পরে সেটাও আর হয়নি।’

কিন্তু রোমান যে বলছেন দেশ কিছুই দেয়নি, আসলেই দেশ দেয় না কিছু? আসিফের কণ্ঠে না পাওয়ার বেদনা, ‘একদিক থেকে বলব, দেশ অনেক ভালোবাসা দিয়েছে, যেটা অতুলনীয়। এর বাইরে ২০০২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতার পর প্রধানমন্ত্রী এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বিকেএসপি ও শুটিং ফেডারেশন থেকেও এক লাখ টাকা করে পেয়েছিলাম। বরং সাফে সোনা জিতে আরও বেশি পেয়েছি। পাঁচ-সাত লাখ টাকা হয়েছে প্রতিবার। বিভিন্ন সময় পদক জিতে এভাবে কিছু টাকা পেয়োছি। কিন্তু এটা এককালীন। আমাদের এখানে সমস্যা হলো, ক্রীড়াবিদদের জন্য মাসিক বা স্থায়ী কিছু নেই।’

আসিফ মনে করেন, তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে, সে তুলনায় রোমানের সঙ্গে কিছুই হয়নি। ‘আমাকে পুলিশ পিটিয়েছে, মামলার কারণে আদালতের দরজায় হাজিরা দিতে হয়েছে। যা ছিল বড় লজ্জার’—বলতে বলতে রোমানের প্রসঙ্গ টানেন,‘অভিমান করা ভালো, কিন্তু এতটা নয়। আবার সে যেভাবে প্রতিবাদ করেছে, এ জন্যও আমি গর্বিত। রোমান যা করেছে, ঠিক করেছে।’

রোমান বলেছেন, মাসে তাঁর আয় ৩০ হাজার টাকা। এ দিয়ে সংসার চলে না। এ প্রসঙ্গে আসিফের কথা, ‘ও তো তা–ও কিছু পাচ্ছে, আমি তো সেটাও পেতাম না।’ বেতন-ভাতা নিয়ে হালের বিকেএসপির কোচ আসিফের আক্ষেপও কম নয়, ‘আমার এক বন্ধু বেতন পায় দেড় লাখ টাকা, ৪২ হাজার টাকা তার বাসাভাড়াই। আমি তো এটা চিন্তাই করতে পারি না।’ তবে আসিফ জানালেন, একটি ফ্ল্যাটের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তিনি। অক্টোবরে ফ্ল্যাট অনুমোদিত হয়েছে বলে চিঠি পেয়েছেন।

‘যা পাচ্ছে সব ক্রিকেটই পাচ্ছে’

শারমিন আক্তার
কমনওয়েলথ শুটিং ও এসএ গেমসে সোনাজয়ী শুটার

শারমিন আক্তার
সৌজন্য ছবি

রোমান সানার অকাল অবসরকে দেশের জন্য বড় ক্ষতি বলে মনে করছেন শারমিন আক্তার। ক্রিকেট, ফুটবলের বাইরে ক্রীড়াবিদেরা রাষ্ট্রীয় আর্থিক অনুদান পান না বলেও তাঁর বিস্তর ক্ষোভ। তাঁর ভাষায় ‘রাষ্ট্রের ক্রিকেটপ্রীতির’ উদাহরণও দিলেন, ‘২০১০ সালে হোম সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফ্ল্যাট-গাড়ি পেয়েছেন। ঠিক ওই সময় আমি আর সাদিয়া কমনওয়েলথ শুটিংয়ে সোনা জিতে আসি। আমাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে ফোন করে শুধু একটা ধন্যবাদ দেওয়া হয়। আর কিছু নয়। আমরা সোনা জিতে এলেও আমাদের মূল্যায়ন হয়নি। এভাবেই সবাই নিরুৎসাহিত হয়ে যায়। আসলে এ দেশে সরকারি তরফে যা পাচ্ছে, সব মূলত ক্রিকেটাররাই পাচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন বা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন কিছু আর্থিক উপহার দেয়। সেটা সবার জন্যই এক। কিন্তু সেরাদের পুরস্কৃত করার জন্য সরকারের কোনো নীতিমালা কেন নেই, এই প্রশ্ন তুলছেন শারমিন, ‘আপনার ইচ্ছা হলো, আজ একে পুরস্কৃত করলেন, কাল ওকে করলেন না, এটা তো হতে পারে না। দেখুন, ক্রিকেটাররা এমনিতেই অনেক পায়। একটা বিপিএল খেললে একজন গাড়ি অনায়াসে কিনতে পারে। আর অন্য খেলার একজন অ্যাথলেট সারা জীবনের আয় দিয়ে একটা বাইক কিনতে চারবার ভাবে। এভাবে তো চলতে পারে না।’

‘দেশ ওকে কিছু দেয়নি, এটা রোমান ঠিক বলেনি’

মাবিয়া আক্তার
টানা দুটি এসএ গেমসে সোনাজয়ী ভারোত্তোলক

মাবিয়া আক্তার
প্রথম আলো

ক্রীড়াবিদদের জন্য দেশ কিছু করছে না। এই হাহাকারের সঙ্গে সুর মেলাতে রাজি নন মাবিয়া আক্তার। টানা দুটি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী এই ভারোত্তোলকের মতে, রোমান ঠিক বলেননি। বিষয়টা ব্যাখাও করেন, ‘রোমান আসলে কী চায়, সেটা পরিষ্কার করা উচিত। ও যে পরিমাণ রেজাল্ট দিয়েছে, ও চাইতেই পারে। সাফে (এসএ গেমস) সোনা জিতে নিয়ম অনুযায়ী অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে টাকা পেয়েছে। এখন ও বলছে, কিছুই পায়নি। ২০১৬ সালে এসএ গেসসে সোনাজয়ী আমি, সাঁতারু শীলা ও শুটার শাকিল আহমেদ ফ্ল্যাট পেয়েছি। ও বলুক, ও ফ্ল্যাট চায়।’

মাবিয়া আরও বলেছেন, ‘ওকে দেশ যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে, সেই সম্মান ওর রাখা উচিত। দেশ ওকে কিছু দেয়নি, এটা ও ঠিক বলেনি। ওকে দেশ অনেক কিছু দিয়েছে। ও বলতে পারত “আমার একটা আবাসন দরকার”, তাহলে আর ভাড়া বাসায় থাকতে হবে না। এটা চাওয়ার অধিকার ওর আছে। কিন্তু দেশ কিছু দেয়নি, এই অভিযোগ করার অধিকার ওর নেই।’

রোমানের কথাবার্তাতেও আপত্তি করার জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন মাবিয়া, ‘ওর মূল আক্ষেপের সুর, ওকে বাড়ি-গাড়ি দেওয়া হয়নি। বাড়ি-গাড়ি সবাই পায়নি। শুটার আসিফ ভাইও পাননি। উনিও কম বড় সাফল্য আনেননি। ২০১০ সালে সাফে সোনাজয়ীরা বাড়ি পায়নি। ২০১৬ সালে আবেগের জায়গা থেকে আমার কান্না দেখে হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। ও চাইতে পারত। অথচ দেশ আমাকে কিছু দেয়নি...এটা খুবই খারাপ কথা হয়ে যাচ্ছে। ওর মতো স্টারের কাছে এমনটা আশা করা যায় না। ও বলতে পারে, ফেডারেশন থেকে কিছু পায়নি। কিন্তু কিছু না চেয়ে নিজের ইমেজ এভাবে নষ্ট না করলেই ভালো হতো।’

তবে রোমান যে সমস্যার কথা বলেছেন, সেটিকে বাস্তব বলেই মনে করেন মাবিয়া। ক্রীড়াবিদদের আর্থিক দুরবস্থা দূর করতে শীর্ষ খেলোয়াড়দের মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া কি খুব কঠিন—এই প্রশ্ন তুলে তিনি বললেন, ‘২০১৪ সালে আমি বিওএ থেকে বৃত্তি পাই মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে। এটা ধারাবাহিকভাবে চললে ভালো হতো। আর সব খাত মিলিয়ে মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা হলে চলা খুব কঠিন নয়। তবে রোমানকে কী দোষ দেব? আমাদের সিস্টেমটাই এমন। আমাদের দ্বারে দ্বারে হাত পাততে হয়।’

‘রোমানকে বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে ফ্ল্যাটের কথা বলো’

মাহফুজা খাতুন শীলা
এক এসএ গেমসে দুটি সোনাজয়ী সাঁতারু

মাহফুজা খাতুন শীলা
সৌজন্য ছবি

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সুযোগ যেহেতু হয়েছে, নিজের সমস্যার কথা কি রোমান সানা বলতে পারতেন প্রধানমন্ত্রীকে? বলা উচিত ছিল বলে মনে করেন ২০১৬ সালে গুয়াহাটি এসএ গেমসে দুটি সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা। তিনি বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে আমি রোমানকে নিজে থেকে বলি, আমাদের ভবনে অনেক ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে। তুমি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টা বলো। কিন্তু সে কথাটা বলতে পারেনি। সে বলেছে, আর্চারি কর্মকর্তারা নাকি তাকে কিছু বলতে না করেছে। আরে, আমাদেরও তো না বলেছে। কিন্তু আমরা আদায় করে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কিছু নিতে না পারা ওর ব্যর্থতা।’

মাবিয়া-মাহফুজাদের ভবনে তায়কোয়ান্দোতে এসএ গেমসে সোনাজয়ী শাম্মী ফ্ল্যাট পেয়েছেন। ২০০৪ সাফ গেমসে সোনাজয়ী শুটার শারমিন আক্তারকে ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রসঙ্গ টেনে মাহফুজা বলেছেন, ‘আমি রোমানকে দোষ দিই। না চাইলে কে দেবে! আমি ফ্ল্যাট পাওয়ার পর মাশরাফি ভাই মজা করে বলেছিলেন, সাফে সোনা জিতে ফ্ল্যাট পাইছি। আমি সারা জীবন খেলে কী পেয়েছি! আসলে ক্রিকেট কষ্ট করে টাকা অর্জন করছে। ফুটবল চেষ্টা করছে। অন্য খেলার অবস্থা খারাপ। আর্মি, নৌবাহিনীতে চাকরি করে বেঁচে আছি আমরা।’

‘সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে’

নিয়াজ মোরশেদ
উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার

নিয়াজ মোরশেদ
সংগৃহীত

নিয়াজ মোরশেদ মনে করেন, ‘সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান না এগিয়ে এলে রোমানদের গল্প তৈরি হতেই থাকবে।’ তাহলে করণীয় কী? নিয়াজ মনে করেন, সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। ভারতে এই সুবিধা আছে। চেন্নাইয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার শ্রীরাম ঝার স্ত্রী বিজয় লক্ষ্মী ভারতের প্রথম মহিলা আইএম। এখন তিনি খেলেন না। খেলা ছাড়ার পর এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি করছেন উচ্চ পদে। বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করেন নিয়াজ, ‘এমন ব্যবস্থা না করলে খেলোয়াড়েরা আর্থিকভাবে অনিরাপদই থেকে যাবে। আর রোমানের মতো গল্প তৈরি হবে। সব খেলা তো ক্রিকেট, ফুটবল, গলফ নয়। বাকিগুলোর জন্য সরকারের সহায়তা দরকার। ওই সব খেলোয়াড়কে নিয়মিত বেতনে আনার সিস্টেম নেই বাংলাদেশে।’

রোমান বলেছেন, সুযোগ–সুবিধা পেলে হয়তো জাতীয় দলে ফিরবেন। আর সেই সুযোগ–সুবিধার জন্য সরকারের পাশাপাশি করপোরেট হাউসগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে নিয়াজের কথা, ‘পদক জিতে আসার পর ক্রীড়াবিদকে এককালীন কিছু টাকা দেওয়া সমাধান নয়। ফ্ল্যাট-গাড়ির পারফম্যান্স সবাই করবে না। তাহলে অন্যরা কী করবে? তাদেরও তো আর্থিক নিরাপত্তা লাগবে। বাংলাদেশ বিমান, বিজেএমসিসহ অনেক প্রতিষ্ঠান আগে চাকরি দিত। এখন এসব প্রতিষ্ঠানের চলে যাওয়া খেলোয়াড়দের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।’