তুরস্কে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল দল

নারী হ্যান্ডবলে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান মানেই যেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের গোল উৎসব। ২০১৬ সালে গুয়াহাটি এসএ গেমসে বাংলাদেশ দল আফগানিস্তানের জালে দিয়েছিল ৬২ গোল! এরপর সেই বছর ঢাকায় হওয়া আইএইচএফ (আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশন) কাপেও আফগানিস্তানকে দাপটের সঙ্গে হারায় বাংলাদেশ। তুরস্কের কনিয়া শহরে অনুষ্ঠানরত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আজ বাংলাদেশ ৩৩-১৯ গোলে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। এই জয়ে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে নারী হ্যান্ডবলে সপ্তম হয়ে খেলা শেষ করল বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের হ্যান্ডবল ম্যাচের একটি মুহূর্ত
ছবি: সংগৃহীত

এমনিতেই বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দলের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ মেলে কালেভদ্রে। হ্যান্ডবল কোর্টে নামলেও জয় থাকে যেন সোনার হরিণ হয়ে। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে গিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে আজ জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে তুরস্কের কাছে ৫১–১০ গোলে হেরেছিল।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সেনেগালের কাছে হারে ৪৫–১৫ গোলে। আর তৃতীয় ম্যাচে হার উজবেকিস্তানের কাছে ৪২–২০ গোলে। তুরস্ক আর সেনেগালের বিপক্ষে এর আগে কখনোই খেলেনি বাংলাদেশ। তবে উজবেকিস্তানের সঙ্গে এর আগে মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৫ সালে। এসএ গেমসের প্রস্তুতি হিসেবে সেবার বাংলাদেশের মেয়েরা সিঙ্গাপুরে অংশ নেয় সিঙ্গাপুর ওপেন টুর্নামন্টে। সেখানে উজবেকিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের মেয়েরা
ছবি: সংগৃহীত

মূলত মেয়েদের হ্যান্ডবল দল নিয়ে ফেডারেশনের নেই কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। জাতীয় দলের অনুশীলনও হয় দায়সারা গোছের। এই গেমস সামনে রেখে মাত্র তিন মাসের অনুশীলন করেছেন মেয়েরা। এই দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বয়সভিত্তিক দলের। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম। বাংলাদেশের মেয়েরা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছিল ২০১৯ কাঠমান্ডু এসএ গেমসে। সেই দলের মাত্র চারজন খেলোয়াড় আছে এবারের গেমসে। এর পরও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে গিয়ে বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দল প্রতি ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে উন্নতির ছাপ রেখেছে।

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আজ হ্যান্ডবলের জয়ের পর ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জপদক জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন স্মৃতি আক্তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো পদক জিততে পারেননি তিনি। ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্মৃতি আক্তার চারজনের মধ্যে হয়েছেন চতুর্থ।

স্ন্যাচে স্মৃতি আজ ৭০ কেজি ওজন তোলেন। এরপর ক্লিন অ্যান্ড জার্কে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ কেজি তোলেন। এর আগে স্মৃতি ক্লিন অ্যান্ড জার্কে সর্বোচ্চ ৮৪ কেজি তুলেছিলেন। স্ন্যাচে তুলেছিলেন সর্বোচ্চ ৬৮ কেজি। আজ দুই বিভাগেই দুই কেজি করে বেশি তুলেছেন৷ সব মিলিয়ে তিনি তোলেন ১৫৬ কেজি। কিন্তু তাঁর চেয়ে মাত্র এক কেজি বেশি ওজন তুলে ইরানের ভারোত্তোলক জেতেন ব্রোঞ্জ। ১৫ আগস্ট আরেক ভারোত্তোলক রাফা ৮৭ প্লাস কেজি ওজন শ্রেণিতে খেলবেন।