ফেরারি গাড়ির চাপায় মারা গেল গ্রাউন্ডহগ, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হ্যামিল্টন

সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নস ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার লুইস হ্যামিল্টনএএফপি

লুইস হ্যামিল্টনের মন ভীষণ খারাপ। শুধু খারাপ বললে আসলে কিছুই বোঝানো হয় না—ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান তারকা মানসিকভাবে যেন ভেঙেই পড়েছেন। কানাডিয়ান গ্রাঁ প্রিতে ফেরারির এই ড্রাইভারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছে একটি গ্রাউন্ডহগ।

কানাডার মন্ট্রিয়লের জিল ভিলনাভ সার্কিটে হঠাৎ করেই কাঠবিড়ালিজাতীয় প্রাণীটি চলে আসে হ্যামিল্টনের ফেরারি এসএফ-২৫ গাড়ির সামনে। সেটি ছিল ১৩ নম্বর ল্যাপ। প্রাণীটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। শুধু তা-ই নয়, ধাক্কার তীব্রতায় হ্যামিল্টনের গাড়ির নিচের ফ্লোরেও গর্ত তৈরি হয়েছে।

রেস শেষে ষষ্ঠ হলেও ফলাফলের চেয়েও বেশি আলোচনায় হ্যামিল্টনের মানসিক অবস্থা। দুর্ঘটনার পর প্রতি ল্যাপে গড়ে অর্ধ সেকেন্ড করে পিছিয়ে পড়ছিলেন। তবে তাঁর ভাষায়, ‘ষষ্ঠ হয়ে শেষ করাটা নয়, ওই প্রাণীটির মৃত্যুই আমাকে বিধ্বস্ত করেছে।’

কানাডিয়ান গ্রাঁ প্রিতে শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ হয়েছেন লুইস হ্যামিল্টন
এএফপি

প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা হ্যামিল্টনের পরিচয়ের অংশ। সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এই তারকা নিরামিষভোজী, সুযোগ পেলেই প্রাণী অধিকার নিয়ে কথা বলেন। কানাডার ঘটনায় আবেগ ধরে রাখতে পারেননি হ্যামিল্টন, ‘ওই মুহূর্তের আগপর্যন্ত আমি দারুণ ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম। এরপর হঠাৎই একটা শব্দ শুনি। আমি ঠিক দেখতে পাইনি, কিন্তু বুঝলাম কিছু একটা হয়ে গেছে। এটা খুবই কষ্টের। আমি প্রাণী ভালোবাসি, খুব খারাপ লাগছে। মর্মান্তিক একটা অভিজ্ঞতা। আগে কখনো এমন হয়নি। আশা করি, প্রাণীটা খুব বেশি কষ্ট পায়নি।’

আরও পড়ুন

জিল ভিলনাভ সার্কিটটি তৈরি করা হয়েছে মন্ট্রিয়লের পাশের সেন্ট লরেন্স নদীতে গড়া একটি কৃত্রিম দ্বীপে। সেই দ্বীপেই গ্রাউন্ডহগদের বসবাস। প্রতি বছর কানাডিয়ান গ্রাঁ প্রির সময় ট্র্যাকে এদের দেখা যাওয়াটা নতুন কিছু নয়।

আরও পড়ুন