নিজের ওপরই রাগ হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন রাজীবের

আজ নিয়াজ মোর্শেদ ও রিফাত বিন সাত্তারকে ছুঁয়ে ফেললেন গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবছবি: প্রথম আলো

শেষ রাউন্ডে নাটকীয় কিছু ঘটেনি। অনুমিতভাবেই গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ২৪ চালে সহজে হারিয়েছেন ক্যান্ডিডেট মাস্টার শওকত বিন ওসমানকে। এতেই টানা দ্বিতীয়বার জাতীয় দাবার শিরোপা ধরে রাখলেন রাজীব।

শিরোপা ধরে রাখার পথে এবার তিনি হেরেছেন টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু ১৩ বছরের ক্যান্ডিডেট মাস্টার মনন রেজা নীড়ের কাছে। সেই হারের পর নিজের ওপরই রাগ হয়েছিল রাজীবের। নিজেই বলেন, ‘নীড়ের কাছে হেরেছি বাজে একটা চাল দিয়ে। এমন একটা বাজে চাল, যেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারিনি। বোর্ডের সেদিন যে কলম দিয়ে চাল লিখেছিলাম সেটা আমি ফেলে দিই। বলতে পারেন একটা একটা সংস্কার।’

১৯৯৭ সালে জাতীয় দাবায় প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন রাজীব। এরপর ২০০৬, ২০১৬, ২০১৭, ২০২১। দ্বিতীয়বারের মতো পরপর দুবার শিরোপা ধরে রেখে গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ ও গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তারকে ছুঁয়ে ফেলেছেন রাজীব। নিয়াজ-রিফাত জিতেছেন ছয়টি করে শিরোপা। জাতীয় দাবায় নিয়াজ, রিফাত ও রাজীব এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়টি শিরোপার মালিক। সর্বোচ্চ ১৪টি শিরোপা জিতে অনেকটা এগিয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান।

দাবার চালে মগ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার রাজীব
ছবি: প্রথম আলো

চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাজীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সব সময়ই বিশেষ কিছু। আমার কাছেও তাই। সর্বশেষ ৬টি জাতীয় দাবার ৫টি খেলে চারটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাই খুব ভালো লাগছে।’

তাহলে কী এটা বলা যায় যে, রাজীব এখন ক্যারিয়ারে তুঙ্গে ‘না, না, সেটা বলা যায় না। জাতীয় দাবায় ভালো করেছি ঠিক আছে। তবে সব মিলিয়ে আমি তৃপ্ত নই গত কয়েক বছরে নিজের খেলায়।’ কিছুটা প্রতিবাদের সুরে বলছিলেন রাজীব।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনে আজ বঙ্গবন্ধু ৪৭তম জাতীয় দাবার শেষ রাউন্ডে জিতে রাজীবের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। এবার তিনি খেলেছেন সাইফ স্পোটিংয়ের হয়ে। শেষ রাউন্ডে গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তারের সঙ্গে ড্র করলেও রানারআপ হতেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান। কিন্তু ফাহাদ হেরেছেন। ফলে গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ফাহাদকে এখন রানারআপ হওয়ার প্লেঅফ খেলতে হচ্ছে। ফাহাদ রহমান ও জিয়ার পয়েন্ট সাড়ে নয়।

সাড়ে আট পয়েন্ট পেয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ চতুর্থ হয়েছেন। আট পয়েন্ট নিয়ে জিয়ার ছেলে ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া পঞ্চম। সাত পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আনসারের গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার ষষ্ঠ। সাড়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ক্যান্ডিডেট মাস্টার মনন রেজা নীড় হয়েছেন সপ্তম।