সোমবার ‘জ্বরে ভুগে’ অফিসে যাবেন না যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ৬১ লাখ মানুষ, কারণ সুপারবোল ভাইরাস

লাস ভেগাসের অ্যালেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের সুপারবোলএএফপি

‘ফুটবল-জ্বরে আক্রান্ত দেশ’—বিশ্বকাপ এলেই এমন শিরোনাম দেখা যায় দেশের সংবাদমাধ্যমে। অবশ্য শুধু ফুটবলই নয়, এ দেশের মানুষ ক্রিকেট-জ্বরেও ভোগেন কমবেশি। ফুটবল কিংবা ক্রিকেট উপভোগ করতে গিয়ে কাজকর্মেও ফাঁকি দেন অনেকে। সেই ফাঁকিবাজদের সংখ্যা ঠিক কত, সেটি বের করতে কখনো শুমারি করার কথা শোনা যায়নি এ দেশে।

আরও পড়ুন

তবে যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হয়! এমনই এক গবেষণায় এবার উঠেছে চোখ কপালে তোলার মতো এক অঙ্ক। আগামী রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ম্যাচ ‘সুপারবোল’। আমেরিকান ফুটবল বা এনএফএলের ফাইনালই পরিচিত সুপারবোল নামে। এবারের সুপারবোলে খেলবে সান ফ্রান্সিসকো ফোর্টিনাইনার্স ও কানসাস সিটি।

একটি হিসাবে বলছে, রোববার রাতের ওই ফাইনালের পরদিন প্রায় ১ কোটি ৬১ লাখ মানুষ ‘জ্বর এসেছে’ বলে ফোন করবেন কর্মক্ষেত্রে।

মানবসম্পদ, চাকরি ও কর্মশক্তি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ইউকেজির জরিপেই উঠে এসেছে, কত মানুষ সোমবার অফিস না করার পরিকল্পনা করেছেন, সেই হিসাব।
ওই জরিপে আরও জানা গেছে, আরও প্রায় সোয়া দুই কোটি চাকরিজীবী সোমবার দেরিতে যাবেন অফিসে। সংখ্যাটা যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ চাকরি করেন, তার প্রায় ১৪ ভাগ। এ ছাড়া আরও সাড়ে চার কোটি মানুষ জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে সেদিন তাঁরা কম কাজ করবেন।

আরও পড়ুন

এবারের সুপারবোল হবে লাস ভেগাসে। ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত শহরটি। লাস ভেগাসের বড় এক ক্যাসিনোর প্রধান নির্বাহী ডেরেক স্টিভেন্স বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হঠাৎ ছুটি নেওয়াতে সুপারবোলের পরের দিনই সবার ওপরে, ‘মানুষের কাজে অনুপস্থিত থাকার এক নম্বর দিনটি হলো সুপারবোলের পরের সোমবার। মানুষ এটাকে ছুটি হিসেবেই নেয়। দিনে দিনে দিনটার গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেক।’

বাজি ধরার দিন হিসেবেও পরিচিতি পেয়ে গেছে সুপারবোল। আমেরিকান গেমিং অ্যাসোসিয়েশন ধারণা করেছে, প্রায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন নাগরিক ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বাজি ধরবেন সুপারবোল ঘিরে।

আরও পড়ুন