ম্যাচ শুরুর মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যেই ইরাককে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। তখন ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১০: ১। এরপর একইভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আরদুজ্জামান মুন্সী ও মিজানুর রহমানের রেইড থেকে দ্রুতই কিছু পয়েন্ট আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে আবার ইরাককে অলআউট করে লোনা আদায় করে বাংলাদেশ। ২৮-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ পেয়েছে ২১ পয়েন্ট। ইরাক ভালো খেলে ২০ পয়েন্ট আদায় করে নেয়।

টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক তুহিন তরফদার, ‘প্রতিটি ম্যাচেই খুব ভালো খেলছে আমাদের খেলোয়াড়রা। গ্রুপের প্রতিটি ম্যাচে আমরা দলের প্রত্যেককে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আজ ইরাকের বিপক্ষে আমাদের টিম কম্বিনেশন ভালো ছিল। তবে ম্যাচে কিছু ভুলত্রুটিও ছিল। ভুলত্রুটি নিয়ে পরবর্তী সময়ে কাজ করব।’

সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জানা যাবে আগামীকাল। তবে তুহিন তরফদারের সব মনোযোগ ফাইনালের দিকে, ‘গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ হারলেও তেমন কোনো ক্ষতি ছিল না। কিন্তু সেমিফাইনালে সেই সুযোগ নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেমিফাইনাল জেতা।

টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর বাংলাদেশের কাছে প্রথম হার ইরাকের। ইরাকের অধিনায়ক আলী সারি অবশ্য সেমিফাইনালে খেলার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী, ‘বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। তাদের কাছে হেরে খারাপ লাগছে। তবে আমাদের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আগামীকাল ইংল্যান্ডকে হারালে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে আমাদের।’