জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমবার ৩৬ ঘণ্টার আল্ট্রা দৌড়

‘ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫’–এ অংশ নেন দেশ–বিদেশের সাড়ে তিন শর বেশি দৌড়বিদকোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ

আজ সন্ধ্যায় ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ হয়েছে স্টেডিয়ামভিত্তিক আল্ট্রা দৌড় প্রতিযোগিতা ‘ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫’। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হওয়া ৩৬ ঘণ্টার এই নিরবচ্ছিন্ন আয়োজনে সর্বোচ্চ ২৩৩ কিলোমিটার দৌড়েছেন এবাদ উল্লাহ।

‘শ্বাসযোগ্য ঢাকার জন্য দৌড়’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এই দৌড়ের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ। তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।

আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পাঠানো সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এন্ডুরেন্স স্পোর্টসের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্টেডিয়ামভিত্তিক আল্ট্রা দৌড় আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে ৩৬ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা ও ৬ ঘণ্টা এই চারটি ক্যাটাগরিতে অংশ নেন দেশি-বিদেশি ৩৫০-এর বেশি দৌড়বিদ। বিভিন্ন বয়স ও পেশার প্রতিযোগীদের উপস্থিতিতে দিনের আলোর পাশাপাশি রাতে ফ্লাডলাইটের নিয়ন আলোতেও নিরবচ্ছিন্ন চলে এই প্রতিযোগিতা।

৩৬ ঘন্টা বিভাগে এবাদ উল্লাহ (পুরুষ) ও সিফাত ফাহমিদা ইতি (নারী), ২৪ ঘণ্টায় সৈয়দ মো. আলিফ (পুরুষ) ও নুরুন্নাহার বেগম নিম্নি (নারী), ১২ ঘণ্টায় মো. আল আমিন (পুরুষ) ও নোশিন শারমিলি শুচি (নারী) এবং ৬ ঘণ্টায় তাপস কুমার মজুমদার (পুরুষ) এবং তামান্না আফরিন মিতুল (নারী) জয়ী হন। এর মধ্যে এবাদ উল্লাহ দৌড়ান মোট ২৩৩ কিলোমিটার, যা কোনো বাংলাদেশির দীর্ঘতম দৌড়ের রেকর্ড বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

নিরবচ্ছিন্নভাবে ৩৬ ঘণ্টা চলেছে এই আয়োজন
কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ

রেস ডিরেক্টর ফরহান জামান বলেন, ‘ভেতো বাঙালি বলে কটাক্ষের শিকার বাংলাদেশিদের সামর্থ্যের প্রমাণ বিশ্বদরবারে দিতে আমরা এ বছরের শুরুতে ২০০ কিমি দৌড়ের আয়োজন করেছিলাম আর এবার ৩৬ ঘণ্টা দৌড়ের আয়োজন। স্টেডিয়ামের ৪০০ মিটারের এই লাল ট্র্যাকে প্রতিটি ল্যাপে আমরা দেখেছি বাংলাদেশিদের সীমা ভাঙার গল্প। এই আয়োজন প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ এন্ডুরেন্স স্পোর্টসের জন্য প্রস্তুত।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) মোহাম্মদ আমিনুল এহসান দৌড়বিদের মাঝে পদক ও স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এই দুটি দিন একটি মাইলফলক। আমাদের তরুণেরা প্রমাণ করেছে আমরা এ ধরনের অতি দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়ের জন্য প্রস্তুত। এমন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী এন্ডুরেন্স স্পোর্টসের জগতে মানুষ নতুনভাবে চিনবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

আরও পড়ুন