অলিম্পিকে দর্শক ঢোকার অনুমতি দিল জাপান

এই ভেন্যুতেই হবে অলিম্পিকের মূল প্রতিযোগিতাগুলো।ছবি: এএফপি

অলিম্পিক হবে কি হবে না, এই দোলাচল এখনো চলছে। টোকিও শহর ও আয়োজক কমিটি যেকোনোভাবেই হোক অলিম্পিক আয়োজন করতে চাইছে। আর ৩২ দিন বাকি অলিম্পিকের। এর আগেই একটি ইতিবাচক খবর দিচ্ছে আয়োজক কমিটি। আয়োজিত হলে অন্তত দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হবে না ক্রীড়াবিদদের।

বিদেশি দর্শক যে এবারের অলিম্পিকে দেখা যাবে না, সেটা আগেই জানানো হয়েছিল। স্বাগতিক জাপানের নাগরিকদের অলিম্পিক দেখতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। সব শঙ্কা উড়িয়ে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভেন্যুতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক দর্শক থাকতে পারবেন। তবে বড় ভেন্যুর ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতা যতই হোক না কেন, সর্বোচ্চ ১০ হাজার দর্শক ঢুকতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, টোকিও অলিম্পিক কমিটি, আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটি, টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার ও জাপান সরকার মিলে আজ এক বৈঠকে বসেছিল। সে বৈঠকেই সব ভেন্যুতে ৫০ শতাংশ দর্শক ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার মানুষ ঢোকার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টোকিও অলিম্পিক কমিটির সভাপতি সেইকো হাশিমোতো, আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান টমাস বাখ (পর্দায়), ও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক মন্ত্রী টামায়ো মারুকায়া আজ এক বৈঠকে বসেছিলেন।
ছবি: এএফপি

এ ছাড়া আরও বেশ কিছু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। আগামী ২৩ জুলাই শুরু হয়ে ৮ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা এবারের অলিম্পিক। সে সূচিতে কোনো নড়চড় হচ্ছে না। স্কুল পর্যবেক্ষণ প্রোগ্রামের অধীন শিক্ষার্থী ও তাদের তত্ত্বাবধায়কেরা নির্ধারিত দর্শকসংখ্যার গণনার বাইরে থাকবেন। কারণ, তাঁরা দর্শক হিসেবে গণ্য হবেন না। ভেন্যুতে দর্শক থাকা বা দর্শকসংখ্যা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

টোকিও অলিম্পিক কমিটির সভাপতি সেইকো হাশিমোতো.
ছবি: এএফপি

সব ভেন্যুতে সব দর্শককে মাস্ক পরতে হবে। চিৎকার করা বা জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ। যেকোনোভাবেই হোক ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। বিধি মেনে ভেন্যু ত্যাগ করতে হবে। দর্শকদের সরাসরি ভেন্যুতে যেতে এবং ভেন্যু থেকে সরাসরি বাসায় ফিরতে বলা হবে। যাতায়াতের সময়ও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

অলিম্পিকের পরই শুরু হবে প্যারালিম্পিক। সেখানে দর্শক থাকবে কি না, এ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১৬ জুলাই।