অলিম্পিয়ানদের জন্য ফাইজারের টিকা

ফাইজারের টিকা পাবেন অলিম্পিকের সব অ্যাথলেটরা।ছবি: রয়টার্স

টোকিও অলিম্পিকের সামনে এখনো বিশাল এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলিয়ে রেখেছে করোনাভাইরাস। এক বছর পিছিয়ে যাওয়া গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবারও শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি। এমন সময়েই কাল দারুণ এক সুখবর পেলেন টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া অ্যাথলেট ও সংশ্লিষ্ট অন্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া অ্যাথলেট ও সংশ্লিষ্টদের জন্য টিকা সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সঙ্গে চুক্তি করেছে ফাইজার ও বায়োএনটেক।

এ মাসের শেষ দিকে বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাঁদের দরকার, তাঁদের টিকা সরবরাহ করবে ফাইজার ও বায়োএনটেক, ‘আমরা অংশগ্রহণকারী সবাইকে মে মাসের শেষ দিকেই টিকা সরবরাহ করব। আমাদের উদ্দেশ্য হলো টোকিও পৌঁছানোর আগেই যেন সবাই দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়ে যান।’
টোকিও অলিম্পিক শুরু হবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে। এবারের অলিম্পিকে ১১ হাজারের বেশি অ্যাথলেটের অংশ নেওয়ার কথা। অনেক দেশের অলিম্পিক কমিটি অবশ্য এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিযোগীদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে।

ফাইজারের টিকা নিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক অ্যাথলেট।
ছবি: রয়টার্স

ফাইজার ও বায়োএনটেকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইওসির সভাপতি টমাস বাখ। সবাইকে টিকা নেওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি, ‘আমি অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই যেখানেই সম্ভব টিকা নিয়ে তাঁরা উদাহরণ সৃষ্টি করুক।’

টোকিও অলিম্পিক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে মাঠে দর্শক উপস্থিতি নিয়েও। এরই মধ্যে আয়োজকেরা বিদেশি দর্শক নিষিদ্ধ করেছেন। জাপানি দর্শকেরাও প্রবেশাধিকার পাবেন কি না, অনিশ্চয়তা সেটি নিয়েও। জাপানি আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাশিমোতো গত শুক্রবার তো বলেই দিয়েছেন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হতে পারে অলিম্পিক।

জাপানের করোনা পরিস্থিতিই হাশিমোতোকে বাধ্য করেছেন এমন আশঙ্কা প্রকাশ করতে। জাপানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে করোনায়। দর্শক নিয়ে অলিম্পিক আয়োজন করে স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর আর চাপ বাড়াতে চান না হাশিমোতো।