জামদানিতে মার্গারিতা যখন ‘বাংলার নারী’
জামদানি শাড়ি আর একরাশ ভালোবাসা নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর ঢাকা ছাড়েন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাশিয়ান জিমন্যাস্ট মার্গারিতা মামুন। পঞ্চম বঙ্গবন্ধু সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে শুভেচ্ছাদূত হয়ে ২৩ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন ২০১৬ রিও অলিম্পিকের জিমন্যাস্টিকসে সোনাজয়ী মার্গারিতা।
বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ যাওয়ার আগে মার্গারিতাকে উপহার দেন ঢাকাই জামদানি শাড়ি, ক্রেস্ট। কালো রঙের সেই শাড়ি পরে নিজের ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়েছেন মার্গারিতা। উচ্ছ্বসিত মার্গারিতা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাংলার নারী’।
শুধু নিজে একাই শাড়ি পরেননি, তাঁর ম্যানেজারকেও পরিয়েছেন শাড়ি। এরপর দুজনের শাড়ি পরা ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। এ ছাড়া তিনি ঢাকা শহরের যানজটের ছবি, প্রাকৃতিক দৃশ্যের কিছু ছবিও ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন।
ঢাকা থেকে শাড়ির পাশাপাশি আরও অনেক উপহার নিয়ে রাশিয়া ফেরেন মার্গারিতা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম তাঁকে উপহার দেন ঢাকা শহরের একটি প্রতীকী চাবি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে শুভেচ্ছা স্মারক ও নানা উপহার। এ ছাড়া মার্গারিতা শপিং মলে গিয়ে পছন্দের কেনাকাটা করেন ঢাকা ছাড়ার আগে।
বাবা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রাজশাহীতে। তবে মার্গারিতার জন্ম রাশিয়ায়। সেখানেই বেড়ে ওঠা এবং রাশিয়ার হয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মার্গারিতার।
এবারের ঢাকা সফরে মার্গারিতার সঙ্গে এসেছিলেন মা আনা, স্বামী ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে সোনাজয়ী সাঁতারু আলেক্সান্ডার সুখোরুকভ ও দুই বছরের ছেলে লেভ। মূলত শিকড়ের টানেই ১৫ বছর পর আবার বাংলাদেশে আসা মার্গারিতার।
যদিও ব্যস্ততার কারণে এবার বাবার বাড়ি রাজশাহীতে যেতে পারেননি মার্গারিতা। কিন্তু রাজশাহী থেকে মার্গারিতার চাচা ও চাচাতো বোনেরা বারবার বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনে টেলিফোন করেছেন। আত্মীয়স্বজন আশায় ছিলেন, অন্তত একবার রাজশাহীতে ঘুরে যাবেন মার্গারিতা।