দিয়ার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবার

দিয়া সিদ্দিকী।ছবি: টুইটার

স্বপ্ন পূরণ হলো না। সুইজারল্যান্ডের লুজানে বিশ্বকাপ আর্চারির ফাইনালে রিকার্ভ মিশ্র দলগত ফাইনালে আজ হেরে গেছেন বাংলাদেশের দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। ৫-১ সেট পয়েন্টে নেদারল্যান্ডসের দুই আর্চার ফাইনাল জিতে নিয়েছেন।
ফাইনালে প্রথম সেটে হারার পর দ্বিতীয় সেটে ড্র করেন রোমান ও দিয়া। কিন্তু তৃতীয় সেট হেরে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। ফলে রুপা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে রোমান-দিয়াকে। তবে বিশ্বমঞ্চে রুপা জয়ও বিরাট সাফল্য। এতে ভীষণ খুশি দিয়ার পরিবার।

নীলফামারী জেলা শহরের উকিলের মোড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পেছনে দিয়ার বাড়ি। তাঁর বাবা নূর আলম সিদ্দিকী একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি। মেয়ের এমন সাফল্যে বাবার আনন্দের যেন শেষ নেই।

সপরিবার দিয়া।
সৌজন্য ছবি

আজ ফাইনাল শেষে নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। আমাদের স্বপ্ন ছিল দিয়া ও রোমান সোনা জিতবে। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ না হলেও রুপা জয়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলে নিজেদের যে উচ্চতায় নিয়েছে, তাতে আমরা গর্বিত।’ আনন্দ প্রকাশের কোনো ভাষা নেই জানিয়ে দিয়ার বাবা যোগ করেন, ‘দিয়ার এ অর্জনে আমাদের পরিবারের পাশাপাশি নীলফামারী জেলাবাসী গর্বিত।’

দিয়ার মা শাহানাজ বেগমও উচ্ছ্বসিত। মেয়ে ফাইনালে হেরে গেলেও বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে, আরও ভালো লাগত যদি দেশের জন্য সোনা নিয়ে আসতে পারত দিয়া। তারপরও আমার মেয়ে বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। বিশ্বকাপে দেশের হয়ে রুপা জয় ভাবতেই ভালো লাগছে। ওর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি।’

ভবিষ্যতে দিয়া যেন আরও ভালো খেলতে পারেন, সোনা জিতে দেশকে এনে দিতে পারেন সাফল্য, সেই প্রত্যাশাও রাখলেন তাঁর মা। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে দিয়া সবার বড়। নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসি পাস করে ঢাকার বিকেএসপিতে ভর্তি হন। সেখানে এখন এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে দিয়া বৃত্তি পেয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ–৫। ভবিষ্যতে দিয়া চিকিৎসক হতে চান বলে জানালেন তাঁর বাবা।