ভাষা হারানো পারফরম্যান্সের পর অবসরই নিয়ে ফেললেন তিনি

হিরোমি মিয়াকেছবি: রয়টার্স

হিরোমি মিয়াকে খুব খারাপ ভারোত্তোলক নন। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে জিতেছিলেন রুপা। ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে। কিন্তু সেই মিয়াকেই এবার নিজ দেশের মাটিতে এমনভাবে ব্যর্থ হলেন যে সে লজ্জায় অবসরই নিয়ে নিয়েছেন।

হিরোমি মিয়াকে
ছবি: রয়টার্স

এ নিয়ে পঞ্চম অলিম্পিক খেলছেন এ অভিজ্ঞ নারী ভারোত্তোলক। কিন্তু তিনিই ভারোত্তোলনের ‘সবচেয়ে হালকা’ ৪৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে ৫ বার চেষ্টা করে একটি বাদে বাকি সব কটিতে ভার তুলতে ব্যর্থ হন। ক্লিন অ্যান্ড জার্কেই ব্যর্থ হয়েছিলেন।
অবসরের ঘোষণাটা দিয়েছেন খুব অল্পসংখ্যক সংবাদকর্মীর সামনে, ‘আমি ভারোত্তোলন থেকে অবসর নিয়ে ফেলছি। এটা নিয়ে আর ভাবতে চাই না। পরে আমি আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবব।’

হিরোমি মিয়াকে
ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন মিয়াকে। পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দুটি পদক জিতেছেন। সোনা অবশ্য পাননি। সেটির লক্ষ্যেই এবার নিজ দেশের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। মনে করেছিলেন, এবার অন্তত একটা পদক জিতেই বিদায়টা বলবেন। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি, ‘একদিক দিয়ে ভালোই হলো, করোনার কারণে অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়াতে আমার ক্যারিয়ার একটু লম্বা হলো! এটা আমার জন্য বোনাস ছিল।’
নিজের ব্যর্থতাটা মেনেই নিতে পারছেন না মিয়াকে, ‘ফলটা খুব বাজে হলো। এমন কিছু হবে, এটা আমি মোটেও আশা করিনি। আমি রীতিমতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, কী বলব! অপ্রত্যাশিত ব্যাপারগুলোই ঘটল আমার বেলায়।’

হিরোমি মিয়াকে
ছবি: রয়টার্স

মিয়াকের বাবা ইয়োশিয়োকি মিয়াকেওন ভারোত্তোলক ছিলেন। ১৯৬৮ সালে মেক্সিকো সিটিতে আয়োজিত অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। কেবল তিনিই নন, মিয়াকের চাচা ইয়োশিবো মিয়াকে ১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। ৩৫ বছর বয়সী মিয়াকের জন্য এবারের অলিম্পিকে অংশ নেওয়াটা খুবই কঠিন ছিল। নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি। পিঠের ব্যথায় পড়েছিলেন। চোট যেন তাঁর পিছুই ছাড়ছিল না। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের পর থেকেই আসলে অবসরের পরিকল্পনাটা নিয়ে ফেলেছিলেন, ‘আমি আসলে গত পাঁচ বছর ধরেই মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছি। তবে আমি মনে করি, আমি বিদায় নিচ্ছি আমার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেই।’