মালদ্বীপে সোনা জিতল বাংলাদেশের খুশবু
মালদ্বীপে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ওয়েস্টার্ন এশিয়ান ইয়ুথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টের শুরুতেই র্যাপিড দাবা ইভেন্টের অনূর্ধ্ব-১০ বালিকা বিভাগে সোনা জিতেছে বাংলাদেশের ওয়ারসিয়া খুশবু। ৭ খেলায় খুশবু পেয়েছে সাড়ে ৫ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে খুশবু ৫টি ম্যাচ জিতেছে, ১টি ড্র ও ১ হার।
খুশবু শুধু প্রথম রাউন্ডে ড্র করে কিরগিজস্তানের তুরসোনালিয়েভা নুরেলিনার সঙ্গে। এরপর টানা হারিয়েছে কাজাখস্তানের দিয়াসকিজি ডালিয়া, ভারতের মন্দিপাল্লী দীক্ষিতা, উজবেকিস্তানের জিকমাথকোনোভা মখিনুর ও ভারতের হানিয়া শাহকে। অবশ্য ষষ্ঠ রাউন্ডে কাজাখস্তানের ওমিরসেরিক আলিমার কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিল খুশবু। কিন্তু সপ্তম ও শেষ রাউন্ডে উজবেকিস্তানের আবরোভা জুনায়রাকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সোনার হাসি হেসেছে রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
ঘরোয়া দাবায় জুনিয়র বিভাগে পরিচিত মুখ খুশবু। এর আগেও দাবার বোর্ডে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সুরভি ছড়িয়েছে খুশবু। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এই একই টুর্নামেন্টে সোনা জেতে উজবেকিস্তানে। এছাড়া এশিয়ান অনলাইন দাবায় অনূর্ধ্ব-৯ বিভাগে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। থাইল্যান্ডে এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা ও রুপা জিতেছে সে। জাতীয় জুনিয়র ও সাবা জুনিয়র দাবায় মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৮ বিভাগেও হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
সোনা জয়ের পর মালদ্বীপ থেকে উচ্ছ্বসিত খুশবু বলছিল, ‘করোনার পর সরাসরি প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে এই জয়টা আমার জন্য খুবই আনন্দের।’
এই টুর্নামেন্টে খুশবুর কাছে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হয়েছে উজবেকিস্তান ও ভারতের দাবাড়ুদের। শেষ পর্যন্ত তাদের হারাতে পেরে খুশি খুশবু, ‘এখানে উজবেকিস্তানের দাবাড়ুদের ওপেনিং গেম অন্যরকম। আর ভারতীয়রা অনেক অনুশীলন করে। আমরা সেই সুযোগ খুব কম পাই। এজন্য খেলতে সমস্যা হয়। যদিও গতকাল ষষ্ঠ রাউন্ডে কাজাখস্তানের এক দাবাড়ুর কাছে হেরে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত পরের রাউন্ডে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’ খুশবু এই টুর্নামেন্টে স্ট্যান্ডার্ড ও ব্লিৎজ বিভাগেও খেলবে।
বাংলাদেশ থেকে খুদে দাবাড়ুদের বিশাল একটা দল গেছে মালদ্বীপে খেলতে। খুশবু ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে অংশ নিচ্ছে মনন রেজা, সাকের উল্লাহ, সাজেদুল হক, সৈয়দ রিদওয়ান, সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আইয়ান রহমান, রাইয়ান রশীদ, সাফায়েত কিবরিয়া, ইশরাত জাহান দিবা, জান্নাতুল ফেরদৌস, কাজী জারিন তাসনিম, নোশিন আনজুম।