যৌন নিগ্রহে দুই বছরের জেল সাবেক ডার্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের

টেড হ্যানকিছবি: স্কাই স্পোর্টস

২০০০ সালে বিডিও বিশ্ব ডার্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যা করেছিলেন টেড হ্যানকি, এখনো তা বিস্ময় জাগায়। ৬-০ সেটে ফাইনাল জিতেছিলেন মাত্র ৪৬ মিনিটে। সে রেকর্ড ২০২০ সালে টুর্নামেন্ট অবলুপ্ত হওয়ার আগপর্যন্ত টিকে ছিল। ২০০৯ সালেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন হ্যানকি।

সেসব অর্জন তাঁকে বাঁচাতে পারেনি। যৌন নিগ্রহের মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নেওয়ার পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হ্যানকির স্ত্রী।

হ্যানকি
ছবি: স্কাই স্পোর্টস

২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের এক ঘটনায় এই শাস্তি পেয়েছেন হ্যানকি। ১৬ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম এক কিশোরী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিল। মার্চ মাসে প্রথম যখন অভিযোগ উঠেছিল, তখন তা অস্বীকার করেননি এই ব্রিটিশ ডার্ট চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু গোয়েন্দারা যখন জানান, এই ঘটনা ক্যামেরায় রেকর্ড করা আছে, তখন দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ ইংল্যান্ডের চেস্টার ক্রাউন আদালত তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন।

এমন অপরাধের পরও ৫৪ বছরের হ্যানকির মধ্যে অনুশোচনার চেয়েও আত্মকরুণা বেশি দেখেছেন বিচারক। যা উল্লেখ করে বিচারক স্টিভেন এভারেট জানিয়েছেন, ক্যামেরায় যদি ঘটনা রেকর্ড করা না থাকত, তাহলে হ্যানকি অপরাধ অস্বীকারই করে যেতেন।

আদালত থেকে সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ সরে যাওয়ার পর বিচারকের সামনে ওই ঘটনার ভিডিও দেখানো হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর কোনো দোষ করেননি এবং এমন অভিযোগে মজা পাচ্ছেন, এই দাবি করেছিলেন হ্যানকি। কিন্তু ভিডিওতে সব রেকর্ড করা আছে, এটা শোনার পর আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

আদালতে যাচ্ছেন হ্যানকি
ছবি: স্কাই স্পোর্টস টুইটার

হ্যানকির শাস্তি হওয়ার আগেই তাঁকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। সন্তানেরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগে আগ্রহী নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।

দুই বছর জেলে কাটানোর পরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না হ্যানকি। যৌন অপরাধীদের রেজিস্টারে আগামী ১০ বছর তালিকাভুক্ত থাকবেন তিনি।

এই রেজিস্টারে নাম থাকলে নিজের অবস্থানের হালনাগাদ তথ্য সবসময় কর্তৃপক্ষকে দিতে বাধ্য থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো এই রেজিস্ট্রি যুক্তরাজ্যে সবার জন্য উন্মুক্ত না হলেও অভিভাবকদের আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয় কিছু ক্ষেত্রে। এমন ব্যক্তিদের অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে যেতে দেওয়া হয় না, বিদ্যালয়ের নিকটে অবস্থানেও নিষেধাজ্ঞা থাকে।