সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদ ক্রীড়া সাংবাদিকদের

অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে বসে ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্রতিবাদ। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেছবি: তানভীর আহাম্মেদ

প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করেছেন।

আজ সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন শেষে ও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন কাভার করতে গিয়ে এই প্রতিবাদ করেন ক্রীড়া সাংবাদিকেরা।

মিরপুরে প্রতিবাদ হয়েছে বিকেলে। সেখানে ক্রীড়া সাংবাদিকদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘জার্নালিজম ইজ নট আ ক্রাইম’, ‘#ফ্রিরোজিনা’, ‘#জাস্টিসফররোজিনা।’ এর আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রতিবাদ হয়েছে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকের ওপর ক্যামেরা–বুম রেখে।

আগামী মাসে কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে অনুশীলন চলছে জামাল ভূঁইয়াদের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তামিম–সাকিবরা অনুশীলন করছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন তিন ওয়ানডের সিরিজকে সামনে রেখে।

ক্রীড়া সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলন কাভার করতে গিয়েও।
ছবি: শামসুল হক

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোজিনা ইসলাম যে হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তা অপ্রত্যাশিত। যাঁরা হেনস্তা করেছেন, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।’ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুব্রত সাহা যোগ করেছেন, ‘বাংলাদেশে সুসাংবাদিকতার জায়গাটিকে এখন কুক্ষিগত করে রাখা হচ্ছে। সব জায়গাতেই আমাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চলছে। রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’

গতকাল পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে সাংবাদিক রোজিনাকে একটি কক্ষে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর থানায় আটক রেখে আজ সকালে আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।