'এলাকায় থাকতে ভালো লাগে'

আরিফ হোসেন মুন
আরিফ হোসেন মুন

ঢাকার ফুটবলে দাপটে খেলেছেন, জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন ১৯৯৩ সাফ গেমসে। এখন সংগঠকের ভূমিকায় কাজ করছেন নিজের জেলায়। কাল ডিএফএর সঙ্গে বাফুফের জেলা ফুটবল কমিটির মতবিনিময় শেষে সেই অভিজ্ঞতাই জানালেন নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সভাপতি আরিফ হোসেন মুন
 তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার ধারাবাহিকতায় নীলফামারী ডিএফএর সভাপতি হলেন। তা কেমন চলছে?
আরিফ হোসেন মুন: ভালোই। অন্যসব ডিএফএর চেয়ে আমার ডিএফএ একটু আলাদা। আমি একই সঙ্গে নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থারও (ডিএসএ) সাধারণ সম্পাদক। তাই অনেক ব্যাপারেই নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। অনেক ডিএফএ তা পারে না।
 তাহলে তো বলা যায়, আপনার ডিএফএ ভালোই চলছে...
মুন: আর্থিক দিক থেকে বলতে পারেন, আমরা অতটা খারাপ অবস্থায় নেই। আমাদের সাংসদ সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সাহেব অনেক সহায়তা করেন ডিএফএকে। সমস্যা হলো মাঠ। যেমন নীলফামারীতে আগামী পরশু (কাল) কাবাডি ও হ্যান্ডবল লিগের ফাইনাল। যে কারণে ফুটবলের জন্য মাঠ আমরা সময়মতো দিতে পারছি না।
 এমনিতে ফুটবলের জন্য বছরে কত দিন মাঠ বরাদ্দ দেন?
মুন: ফুটবলকে বছরে এক মাসও মাঠ দেওয়া যায় না। ঈদের পর ক্রিকেটের বিভিন্ন সূচি শুরু হয়ে যাবে। ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন খেলায় ডিএসএর কিছু কার্যক্রম আছে। এ অবস্থায় গত বছর যে আমরা ফুটবল লিগটা করেছি, সেটাও অনেক বাধা ডিঙিয়ে করতে হয়েছে।
 ফুটবল ছাড়ার পর আমাদের তারকা খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই ঢাকায় থাকেন। আপনি জেলাতেই রয়ে গেলেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে?
মুন: আমি সব সময় তৃণমূলে কাজ করতে ভালোবাসি। এলাকায় থাকতে ভালো লাগে। এটা ছোটবেলা থেকেই। আমার বাবা ছিলেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর পথ ধরে আমি এখন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। কাজেই জেলা ছাড়ার কথা কখনোই ভাবিনি।
 আপনার জেলায় এমন ফুটবল-প্রতিভার কি দেখা মেলে, যার মধ্যে ভবিষ্যতে একজন মুন হওয়ার বীজ রয়েছে?
মুন: এমন প্রতিভা আগের চেয়ে বেশিই আছে। তাদের পরিচর্যা করতে পারছি না, এটা আমাদের ব্যর্থতা। সমস্যাটা হয়েছে, মাঝখানে ১৪ বছর নীলফামারীতে লিগ হয়নি। এই যে দীর্ঘ বিরতি, সেটার প্রভাব না পড়ে তো পারে না। তবে আমরা কাজ করছি।
 নিজে ফুটবলার ছিলেন। এখন ব্যতিক্রমী উদাহরণ হয়ে জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। হয়েছেন বাফুফের সদস্যও। ফুটবল নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
মুন: স্বপ্ন তো অনেক। আমি চাই, আগের মতো নীলফামারী থেকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে কিছু খেলোয়াড় সরবরাহ করতে। তৃণমূল স্তরে আমরা কিছুটা সফলও হয়েছি। বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা প্রাথমিক স্কুল ফুটবলে নীলফামারীর স্কুল দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু ঢাকার শীর্ষ ফুটবলে আগে যেমন আমরা ৮-৯ জন খেলোয়াড় খেলতাম, এখন সংখ্যাটা কমে গেছে। সেই মানও আর নেই। মানটা বাড়ানোই আমার বড় লক্ষ্য।