দেশে ভালো অ্যাথলেট আসার গতিটাই হারিয়ে গেছে

ক্রিকেটার ও ফুটবলারদের তুলনায় বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা পিছিয়ে যোজন যোজন। অর্থ নেই, গ্ল্যামার নেই। সম্মানও কি আছে? বিশ্ব অ্যাথলেটিকস দিবস উপলক্ষে এসব প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। উত্তর খুঁজতে সাবেক অ্যাথলেট শামীমা সাত্তার মিমুর মুখোমুখি প্রথম আলো
সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট শামীমা সাত্তারের মতে অ্যাথলেট তৈরি করার গতিটাই নষ্ট হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস দিবস পালন করে আসছে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। প্রতিবছর মে মাসে দিবসটি পালিত হয়। একেক বছর একেক দিন ঠিক করে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। গত কয়েক বছর ৭ মে অর্থাৎ আজকের দিনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস দিবস। এবার ৫ মে। অবশ্য গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়নি বিশ্বব্যাপী। তবু এমন দিনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকসের সামগ্রিক অবস্থা কেমন দেখছেন?

শামীমা সাত্তার: স্বাধীনতার পর আমাদের অ্যাথলেটিকস সামনের দিকে এগোচ্ছিল। সাফ গেমসে আমরা সোনা পাচ্ছিলাম। আশির দশকে শাহ আলম পরপর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানব হয়েছে। মিলজার হোসেন, শর্মিলা রায়, শাহান উদ্দিন, শাহজালাল মবিন, সাইদুর রহমান, বিমলচন্দ্র তরফদার, মাহবুব আলমদের মতো অ্যাথলেট আমরা পেয়েছি। কিন্তু ভালো ভালো অ্যাথলেট আসার সেই গতিটা হারিয়ে গেছে।

প্রশ্ন :

ভালো অ্যাথলেট আসার গতিটা হারিয়ে যাওয়ার কারণ কী?

শামীমা সাত্তার: অনেক কারণ। আর্থসামাজিকভাবে অ্যাথলেটরা অবহেলিত। অ্যাথলেটিকসে এসে টিকে থাকা কঠিন। ফলে সেভাবে আসছে না নতুন প্রজন্ম। খেলার মাঠে সেই উপচে পড়া ভিড়টা নেই। যখন লংজাম্প বা হাইজাম্প করতাম, একটা জাম্প দেওয়ার পর ১২-১৩ জন অপেক্ষায় থাকত। এখন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অনেক ইভেন্টে চার-পাঁচজনের বেশি অ্যাথলেট থাকে না। ট্র্যাকই ভরে না। বেশ কটি ইভেন্টে পর্যাপ্ত অ্যাথলেট না আসায় হিটের প্রয়োজন পড়ে না। স্কুল, কলেজে অ্যাথলেটিকসের চর্চা নেই বললেই চলে। ফলে অ্যাথলেট আসার পাইপলাইনগুলো এখন অনেকটা বন্ধ।

খেলোয়াড়ি জীবনে লংজাম্প করছেন শামীমা সাত্তার।
ছবি: সংগৃহীত
আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থায় অ্যাথলেটদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা নেই। ফলে হতাশায় অনেক অ্যাথলেট দেশ ছেড়েছে। একটা সময় চাকরি করে বড় বড় পদে যাওয়ার সুযোগ ছিল। যেমন আমি একটা সংস্থার সহকারী ম্যানেজার ছিলাম।
শামীমা সাত্তার, সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট

প্রশ্ন :

আপনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত টানা খেলে হাইজাম্প, লংজাম্প, ৮০০ মিটার দৌড়, রিলেসহ মোট ২২টি সোনা জিতেছেন। একসময় হাইজাম্প, লংজাম্পে রেকর্ডও গড়েন। খেলা ছেড়ে কোচ, সংগঠক হয়েছেন। আপনার সময় আর এখনকার সময়ের অ্যাথলেটিকসে পার্থক্য কতটা দেখেন?

শামীমা সাত্তার: পার্থক্য অনেক। অ্যাথলেটের সংখ্যা এবং গুণগত মান—দুই ক্ষেত্রেই। অ্যাথলেট এখনো কিছু আসছে। কিন্তু যে মানের অ্যাথলেট আমরা চাইছি, তেমন অ্যাথলেট হাতে গোনা। ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য আসছে না। তা ছাড়া একে একে অনেক অ্যাথলেটিকস দল এবং পৃষ্ঠপোষক হারিয়ে গেছে।

জাতীয় পর্যায়ে শামীমা সাত্তারের হাই জাম্প।
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

অনেক সরকারি সংস্থাও অবলুপ্ত হয়েছে...

শামীমা সাত্তার: এটাই বড় সমস্যা। বিটিএমসি হারিয়ে গেছে বহু আগেই। বিজেএমসিও সাম্প্রতিক সময়ে অবলুপ্ত। বিজেএমসির কর্মকর্তাদেরও সম্ভবত গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করা হচ্ছে। রেকর্ডধারী সাবেক অ্যাথলেট জোৎস্না আফরোজ, নেলী জেসমিনরা বিজেএমসিতে দীর্ঘদিন চাকরি করেছে। ওদেরও বোধ হয় বিদায় নিতে হচ্ছে। কাস্টমস, রেলওয়ের মতো দলগুলো হারিয়ে গেছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাথলেটিকস চর্চা হতো। জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা অংশ নিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলে সুলতানা আপা ( সুলতানা কামাল) অনেক পদক জেতেন জাতীয় প্রতিযোগিতায়। নাজমা শামীম, সালমা আপা, আয়েশা সিদ্দিকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ ছিলেন। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাথলেটিকস বলে কিছু নেই।

১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে নিলেন অবসর।
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

বিভিন্ন সংস্থার অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া দেশের অ্যাথলেটিকসের এগিয়ে যাওয়ার পথে কতটা হতাশার মনে করেন?

শামীমা সাত্তার: ভীষণ হতাশার। সংস্থাগুলোর অবলুপ্ত হওয়া মানে অ্যাথলেটদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ কমে আসা। আগে বেশ কয়েকটি সংস্থায় চাকরি করত খেলোয়াড়েরা। বেতন পেত, সংসার চলত, লেখাপড়া করতে পারত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে খেলাধুলায় অংশ নিত। এখন এসব জায়গা সংকুচিত হয়ে যাওয়া অ্যাথলেটিকসের জন্য বয়ে এনেছে চরম দুঃসংবাদ।

আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাথলেটিকস চর্চা হতো। জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা অংশ নিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলে সুলতানা আপা ( সুলতানা কামাল) অনেক পদক জেতেন জাতীয় প্রতিযোগিতায়। নাজমা শামীম, সালমা আপা, আয়েশা সিদ্দিকারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ ছিলেন। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাথলেটিকস বলে কিছু নেই।
শামীমা সাত্তিার, সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট

প্রশ্ন :

দক্ষিণ এশিয়ান গেমস অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশ সর্বশেষ সোনা জিতেছে ২০০৬ সালে। ১১০ মিটার হার্ডলসে সেবার সোনা জেতা নোয়াখালীর ছেলে মাহফুজুর রহমান কিছুদিন পরই ভিনদেশে পাড়ি জমান। দেশে অ্যাথলেটিকসের ভবিষ্যৎ নেই ভেবে অনেক অ্যাথলেটই চলে গেছেন বিদেশে। কেন অ্যাথলেটদের জন্য একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করা গেল না। এর দায় কার?

শামীমা সাত্তার: দায় সবারই। আসলে আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থায় অ্যাথলেটদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা নেই। ফলে হতাশায় অনেক অ্যাথলেট দেশ ছেড়েছে। একটা সময় চাকরি করে বড় বড় পদে যাওয়ার সুযোগ ছিল। যেমন আমি একটা সংস্থার সহকারী ম্যানেজার ছিলাম। প্রথম সারির অ্যাথলেটরা এখনো চাকরি করছে। তবে সার্বিকভাবে তারা প্রত্যাশিত জায়গায় যেতে পারছে না। তা ছাড়া অনুশীলন সুবিধার অভাব রয়েছে। দেশে অ্যাথলেটদের জন্য একটা ভালো ট্র্যাক নেই, জিম নেই, হোস্টেল নেই। এত ‘নেই’-এর মধ্যে ভালো কিছু আসবে কীভাবে?

প্রশ্ন :

অ্যাথলেটিকস টেনে তুলতে এখন করণীয় কী ?

শামীমা সাত্তার: তরুণদের আর্থিক নিরাপত্তা দিয়ে লেখাপড়ারও ব্যবস্থা করতে হবে। কিশোর, তরুণেরা নইলে কীভাবে উৎসাহী হবে অ্যাথলেটিকসে? অ্যাথলেটদের বৃত্তি দিতে হবে। মা-বাবাকে নিয়ে যেন সে চলতে পারে, সংসার চালাতে পারে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে না পারলে অ্যাথলেটিকস কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যাবে না।

২০১৯ সালে কাঠমান্ডু এসএ গেমসে আর্চারি দলের কর্মকর্তা ছিলেন শামীমা সাত্তার।
ছবি: সংগৃ্হীত

প্রশ্ন :

খেলোয়াড়দের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা কেমন হওয়া উচিত?

শামীমা সাত্তার: ফুটবলার, ক্রিকেটার ছাড়া আমাদের দেশে অন্য খেলোয়াড়দের জীবন-জীবিকা অনেক নিচের দিকে। হকি খেলোয়াড়েরা হয়তো-বা সামান্য কিছু টাকা পায় লিগ মাঠে গড়ালে। অ্যাথলেটিকসে তো আর লিগ নেই। জীবন-জীবিকা চালানো খুব কঠিন অ্যাথলেটদের পক্ষে। বিভিন্ন বাহিনী বা সংস্থায় চাকরি করলে হয়তো কিছু টাকা পায় অ্যাথলেটরা।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসারসহ কয়েকটি দল অ্যাথলেটদের চাকরি দেয়। কিন্তু চাকরি না পাওয়া খেলোয়াড়েরা কীভাবে জীবন চালাবে? জেলা পর্যায়ে অ্যাথলেটদের কোনো আর্থিক অনুদান নেই। সেখানে স্পনসরের তীব্র অভাব। কিন্তু জেলা স্তরে খেলোয়াড় তৈরি না হলে জাতীয় স্তরে শূন্যতা তৈরি হবে। আমি বলব, জেলা পর্যায়ে স্পনসর বাড়াতে হবে। খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা ও লেখাপড়ার খরচ দিতে হবে।

প্রশ্ন :

ভালো প্রশিক্ষণও কি পান বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা?

শামীমা সাত্তার: প্রশিক্ষণেও ঘাটতি রয়েছে। এই যুগে অবশ্যই উচ্চতর প্রশিক্ষণ দরকার। জেলাগুলোতে ভালো কোচ তৈরি করার বিকল্প নেই। খেলোয়াড়দের ভালো প্রশিক্ষণ দিতে হবে জেলায় জেলায়। কিন্তু জেলায় ভালো কোচিং না দিয়ে খালি পায়ে একটা ছেলেমেয়েকে জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলতে ঢাকায় পাঠালে তো হলো না। জেলার অ্যাথলেটিকসের করুণ অবস্থা জাতীয় প্রতিযোগিতার সময় ফুটে ওঠে। খেলোয়াড়দের হাতে থাকে না কোনো টাকাপয়সা। জেলা পর্যায়ে পুষ্টি পায় না খেলোয়াড়েরা। তাহলে তাদের শরীর শক্ত হবে কীভাবে? শক্তির জন্য পুষ্টি দরকার।

প্রশ্ন :

নিকট অতীতে নোয়াখালীর মতো জেলা থেকে অনেক ভালো অ্যাথলেট উঠে এসেছে। এখন সেই নোয়াখালীতেও ভাটার টান। জেলার অ্যাথলেটিকসের রং ফেরাতে করণীয় কী?

শামীমা সাত্তার: আগেই বলেছি, জেলায় পৃষ্ঠপোষণা দরকার। ভালো কোচ দরকার। ছেলেমেয়েদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা জরুরি। ছেলেমেয়েরা এখন স্কুলের বেতন দেবে, নাকি না প্র্যাকটিস করবে? ছোলা বুট খেয়ে তো আর অ্যাথলেটিকস হয় না। কৃষক, দিনমজুর বা ট্রাক ড্রাইভার বাবার পক্ষে পুষ্টিকর খাওয়া দেওয়া সম্ভব হয় না তাঁর সন্তানকে। ফলে শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয় না অ্যাথলেটরা। একটা ছেলে যদি ভালো না খায়, তাহলে সে কীভাবে উন্নতি করবে? ঢাকায় এসে কীভাবে নিজেকে তুলে ধরবে? বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

প্রশ্ন :

জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা বা রুপা জেতা খেলোয়াড় হয়তো চাকরি পায়। কিন্তু তৃতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম স্থানের অ্যাথলেটকে কেউ নেয় না। ফলে তারা হারিয়ে যায়। এটিকে কীভাবে দেখছেন?

শামীমা সাত্তার: সবার জন্যই চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা যদি না-ও হয়, একজন খেলোয়াড় জেলায় ফিরে গেলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে, যাতে খেলোয়াড়েরা হারিয়ে না যায়।

প্রশ্ন :

অ্যাথলেটদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণাও নেই...

শামীমা সাত্তার: এটাও বড় সমস্যা। প্রতিযোগিতার সময় মিডিয়া অ্যাথলেটদের নিয়ে একটু লেখালেখি করে। সারা বছর আর খোঁজখবর রাখে না। অ্যাথলেটরা কোথায় আছে, প্র্যাকটিস করে কি না, নাকি বাড়ি চলে গেছে, কীভাবে চলছে তাদের জীবন, এগুলো নিয়ে ভাবে না কেউ। ফলে অনেকে হারিয়ে যায় বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমি বলব, প্রচার পেলে অ্যাথলেটরা উৎসাহী হবে। মিডিয়াগুলোর উচিত অ্যাথলেটদের নিয়ে ফলোআপ স্টোরি করা। সেটা করলে অ্যাথলেট চাপ অনুভব করবে এবং ভালো খেলার চেষ্টা করবে আরও।

প্রশ্ন :

বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা টাইমিং ইলেকট্রনিকস বোর্ডে টাইমিং দেখতে পারে না। কারণ, এখানে ইলেকট্রনিক বোর্ড বিকল থাকে বছরের পর বছর। এই যুগে এসে হাতঘড়িতে টাইমিং ভাবা যায়!

শামীমা সাত্তার: এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এই যুগে হাতঘড়ির টাইমিং মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু কী আর করা। এই যখন অবস্থা, আমরা এগোব কীভাবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। তারপরও এগোতে হবে। বিদেশে পাঠিয়ে ভালো অনুশীলন চাই অ্যাথলেটদের জন্য। ভালো কোচের অধীনে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা করে দিতে হবে। আমাদের প্রতিভা নেই বলব না। কিন্তু প্রতিভা উৎসাহিত করতে হবে।

প্রশ্ন :

জীবনের এই পর্যায়ে এসে অ্যাথলেটিকস নিয়ে কোনো স্বপ্ন দেখেন?

শামীমা সাত্তার: স্বপ্ন দেখি আমরা দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ভালো কিছু করব। অ্যাথলেটিকস আবার ওড়াবে জয়ের পতাকা। তবে স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি একটা আক্ষেপও রয়ে গেছে আমার।

প্রশ্ন :

সেটা কী?

শামীমা সাত্তার: আমরা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেট হয়েও আজ পর্যন্ত বসার একটা জায়গা পেলাম না বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায়। এসব বলতেও লজ্জা লাগে। অনেক ছোট ছোট ফেডারেশনেরও অফিস আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামপাড়ায়। কিন্তু আমরা কী পেলাম? আমাদের জন্য কোনো চিন্তাভাবনা করা হয়নি। কোথাও আমরা আমন্ত্রণও পাই না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার মাসিক ভাতা দিচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেটদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা গেলে আমার মনে হয় ভালো হতো।