বিধ্বংসী নাদালকে ছাপিয়ে আলোচনায় বলবয়ের অজ্ঞান হওয়া

নাদাল ৬-১, ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কোস গিরোনকেছবি : রয়টার্স

শ্বাসরুদ্ধকর খেলা চলছে অবাছাই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে। প্রথম থেকেই স্পেনের পেদ্রো মার্তিনেজ আর আর্জেন্টিনার ফেদেরিকো দেলবোনিসের কেউ কাউকে ছেড়ে কথা কইছেন না। ততক্ষণে প্রথম সেট গড়িয়েছে টাইব্রেকারে।

এরপরই মেলবোর্নের রোদের উত্তাপে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের মধ্যেও দর্শকের শিরদাঁড়া বয়ে যেন নেমে গেল শীতল স্রোত। হঠাৎ কোর্টে অজ্ঞান হয়ে গেলেন কোর্টে নিয়োজিত এক বলবয়। তা দেখে বলবয়ের কাছে দৌড়ে চলে গেলেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

কোর্টে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের মনে অশুভ চিন্তা আসার আগেই অবশ্য স্বস্তির খবর চলে এল। কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান ফেরে সেই বলবয়ের। আবার শুরু হয় ম্যাচ। আর তাতেই চার সেটের দীর্ঘ লড়াই শেষে জয় হলো পেদ্রো মার্তিনেজের।


নোভাক জোকোভিচকে ঘিরে বিতর্কের শেষ আজ শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম দিনে সব ছাপিয়ে আলোচনায় থাকল বলবয়ের এই ঘটনাই। এমনকি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে রাফায়েল নাদালের বিধ্বংসী জয়ও তাতে যেন আড়ালে চলে গেল। ২১তম গ্র্যান্ড স্লামের আশায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে যাওয়া নাদাল ৬-১, ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কোস গিরোনকে।

পায়ের চোটে পাঁচ মাস কোর্টের বাইরে থাকা নাদাল এই টুর্নামেন্ট দিয়েই আবার প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিরেছেন। টেনিসের বিখ্যাত ত্রয়ীর মধ্যে এই এক নাদালই খেলছেন এ টুর্নামেন্টে। রজার ফেদেরার তো চোটের সঙ্গে যুদ্ধেই পেরে উঠছেন না, টিকা-জটিলতায় এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় তারকা নোভাক জোকোভিচও না থাকায় নাদালের শিরোপা জয়ের আশাও বেড়েছে নিঃসন্দেহে। নাদালের একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা এসেছে সেই ২০০৯ সালে।

ম্যাচ শেষে নাদালের চোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল অবধারিতভাবে। তবে নাদাল ইতিবাচকই থেকেছেন, ‘বেশ কঠিন কয়েকটা মাস কাটিয়েছি। অনেক কঠিন কিছু মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে। খেলতে পারব কি না, সেটা নিয়েও সন্দিহান ছিলাম। কারণ, কবে চোটমুক্তি হবে, সেটা তো বলে দেওয়া যায় না, ব্যাপারগুলো কঠিন। তবু আমি ইতিবাচকই থাকছি। গত সপ্তাহে এখানে তিন ম্যাচ আর একটা শিরোপাও জিতেছি।’

দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানির ইয়ানিক হফম্যানের বিপক্ষে খেলবেন নাদাল।