সাবেক টেনিস তারকার সম্পদ মেসি-রোনালদোর চেয়েও বেশি

তিরিয়াকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশিছবি: এএফপি

কাল রাতের ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালে জিতে নোভাক জোকোভিচের ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩টিতে। ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম আছে রাফায়েল নাদালেরও। তবে টেনিস কোর্টে এত এত ট্রফি জিতেও আর্থিক দিক দিয়ে সাবেক এক টেনিস তারকাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই তাঁদের। সাবেক এই টেনিস তারকা রীতিমতো ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের বেশি, যা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির সম্মিলিত সম্পদের চেয়েও বেশি।

১৯৭০ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের মিশ্র দ্বৈতে শিরোপা জিতেছিলেন তিরিয়াক
ছবি: সংগৃহীত

এই ধনকুবের সাবেক টেনিস তারকার নাম ইওন তিরিয়াক। এ প্রজন্মের টেনিসপ্রেমীরা খুব যে তাঁর নাম শুনেছেন, এটা বলা যাবে না। ৮৪ বছর বয়সী তিরিয়াক শেষবার টেনিসই খেলেছেন ১৯৭৯ সালে, ৪৪ বছর আগে। নিজের টেনিস ক্যারিয়ারে সাকল্যে ২ লাখ ডলারের মতো আয় করতে পেরেছেন তিনি। ধনকুবেরে পরিণত হয়েছেন মূলত টেনিস ছাড়ার পর থেকে।

আরও পড়ুন
তিরিয়াকের সম্পদ মেসি ও রোনালদোর সম্মিলিত সম্পদেরও বেশি
ছবি: রয়টার্স

১৯৭০ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে ডাবলসের শিরোপা জিতেছিলেন তিরিয়াক। সঙ্গে ছিলেন ইলে নাসতাস। যেটি তাঁর টেনিস ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। এর আগে তিনি উইম্বলডনের সেমিফাইনালে খেলেছিলেন। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে পাওয়া এই অর্জন ক্যারিয়ারে আর কখনোই পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি এই রোমানিয়ান। খেলা ছাড়ার পর তিনি কোচিংয়ে ঝুঁকে পড়েন। কাজ করেছেন তাঁর সমসাময়িক ইলে নাসতাসের সঙ্গে। যিনি র‍্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর প্রথমবার এক নম্বর খেলোয়াড় হয়েছিলেন। তিরিয়াক কাজ করেছেন জার্মান টেনিস তারকা বরিস বেকার, গোরান ইভানেসিভিচ, মেরি জো ফার্নান্দেজের সঙ্গে। তিরিয়াচের অধীনেই বেকার জিতেছিলেন পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা।

আরও পড়ুন
তিরিয়াক যখন পুরোপুরি কোর্টের মানুষ
ছবি: সংগৃহীত

এই সময়ই ব্যবসায়ে ঝুঁকে পড়েন তিরিয়াক। বিনিয়োগ প্রশ্নে তাঁর কিছু দারুণ সিদ্ধান্ত তাঁর সম্পদ ফুলেফেঁপে তুলতে সহায়তা করে। যুক্তরাজ্যের ডেইলি স্টার লিখেছে, এক হিসাব অনুসারে তিরিয়াকের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ হিসাবে মেসির মোট সম্পদের পরিমাণ ৬০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রোনালদোর ৫০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিরিয়াকের মোট সম্পদ ফুটবলের দুই শীর্ষ তারকার সম্মিলিত সম্পদের চেয়েও বেশি।

তিরিয়াক মূলত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আশির দশকের শেষ দিকে রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থার পতন ঘটলে মুক্তবাজার অর্থনীতির সুযোগটা নেন তিনি। রোমানিয়ার প্রথম বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা তিরিয়াকই। এই ব্যাংক পরবর্তী সময়ে বিশাল ব্যবসায়িক সাফল্যের উদাহরণ। তিরিয়াক হোল্ডিং লিমিটেডের অধীনে শুধু ব্যাংকই নয়, তিনি বেসরকারি বিমান সংস্থা, ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন খুচরা পণ্যের ব্যবসাতেও দারুণ সাফল্য পান। অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস ২০০৭ সালে তাঁকে রোমানিয়ার প্রথম বিলিয়নিয়ারের তকমা দিয়েছিল।