তিন মাস নিষিদ্ধ টেনিসের এক নম্বর সিনার
ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছায় ‘হার’ মেনে নিলেন ইয়ানিক সিনার। বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় বৈশ্বিক ডোপ–বিরোধী সংস্থা ওয়াডার সঙ্গে সমঝোতা করে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন। যার অর্থ, আগামী তিন মাস টেনিসে নিষিদ্ধ থাকবেন তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন। তবে ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় কোনো গ্র্যান্ড স্লাম মিস করবেন না ইতালিয়ান তারকা।
এক বছর আগে ডোপ টেস্টে দুবার পজিটিভ হয়েছিলেন সিনার। তাঁর রক্তে নিষিদ্ধ স্টেরয়েড অ্যানাবলিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ওয়াডা তখন এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল সিনারকে। তবে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সির (আইটিআইএ) আপত্তিতে তা করতে পারেনি ওয়াডা।
ফিজিওথেরাপিস্টের অসতর্কতায় সিনারের অজান্তে তাঁর শরীরে নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক প্রবেশ করেছে, সিনারের এই যুক্তির কারণেই আপত্তিটা জানায় আইটিআইএ। ফিজিওথেরাপিস্ট কাটা আঙুল নিয়ে ম্যাসাজ করায় তার আঙুল থেকে শরীরে নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক প্রবেশ করেছিল—সিনারের এই ব্যাখ্যা মেনে নিয়েছিল আইটিআইএ।
সিনার অবশ্য নিজের গাফিলতিও দেখেন এই ঘটনায়। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা মেনে ওয়াডার সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে সমাপ্তি টানার কথা বলতে গিয়ে সেটিও বলেছেন ২৩ বছর বয়সী তারকা।
আজ এক বিবৃতিতে সিনার বলেছেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে মামলাটা মাথার ওপর ঝুলে ছিল। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও লম্বা সময় লাগত, এ বছরের শেষভাগেই হয়তো কিছু একটা সিদ্ধান্ত হতো। আমি সব সময়ই বলে আসছি আমার দলের যেকোনো কিছুর জন্য আমার দায় আছে। আমি এটাও বুঝি, আমার প্রিয় খেলার সুনাম রক্ষা করার জন্যই ওয়াডার এই কঠোর বিধিনিষেধ। আর এ কারণেই আমি ওয়াডার তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব মেনে নিয়ে ঝামেলাটা চুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে আইটিআইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করেছিল ওয়াডা। কানাডাভিত্তিক সংস্থাটি সেই আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সিনারের নিষেধাজ্ঞা ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে, যা শেষ হবে ৪ মে।